Narendra Modi (Photo Credit: ANI/Twitter)

কলকাতা, ১২ মে: লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং (Arjun Singh)-কে জেতাতে ব্যারাকপুরে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বারাকপুরে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালির স্টিং অপারেশন নিয়ে মুখ খুললেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাবি, সন্দেশখালিতে নয়া খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। মহিলাদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ। ব্যারাকপুরে ২৭ মিনিটের নির্বাচনী প্রচারের ভাষণে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়েও সরব হলেন মোদী। 'বাহুবলী' নেতা অর্জুন সিংকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হন মোদী। যে অর্জুন তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকার পরই বিজেপিতে যোগ দিয়ে টিকিট পান।

মোদীর অভিযোগ, মমতার আমলে গোটা বাংলায় বোম তৈরি একটা এখন একটা শিল্পে পরিণত হয়েছে। মোদী যেখানে দাঁড়িয়ে এই দাবিগুলো করছেন সেই ভাটপাড়াতেই গত কয়েক বছর সবচেয়ে বেশী বোমাবাজি হয়েছে। আর কখনও তৃণমূল, তো কখনও বিজেপিতে থাকাকালীন কাঠগড়ায় উঠেছেন অর্জুন সিং ও তার বিরোধী দলের স্থানীয় নেতারা। আরও পড়ুন-বাংলায় তৃতীয় দফায় চার আসনেই পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের ভোটদানের হার অনেক বেশী, লক্ষ্মীভাণ্ডারই কি ফ্যাক্টর!

দেখুন ভিডিয়ো

ভাটপাড়ার সভায় দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার কোনওভাবই বরদাস্ত করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগের সুরে বলেন, বাংলায় রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূল। কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার ওবিসিদের সংরক্ষণের সব মুসলিমদের দিয়ে দিয়েছে বাংলাতে আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। সিএএ মানুষের ভালর জন্য করা হয়েছ। কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থে সিএএ-র মত আইনকে ভিলেন বানানো হচ্ছে। সিএএ কেউ বন্ধ করতে পারবে না বলে মমতাকে ঘুরিয়ে চ্যালেঞ্জ জানান মোদী।

ব্যারাকপুরের জনসভায় দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, "একটা সময় বাংলার বিশেষ করে ব্যারাকপুরের মাটিতে ইতিহাস লেখা হল। ভারতের স্বাধীনতার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু এখন দেখুন তৃণমূলের শাসনে কী অবস্থা এখানের। একটা সময় ছিল যখন বাংলা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করত। কিন্তু এখন সেকানে রাজ্যটাকে পুরোপুরি দুর্নীতির প্রাণকেন্দ্র বানিয়ে দিয়েছে ওরা। বাংলায় একটা সময় কত বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার হত। কিন্তু এখন তৃণমূলের শাসনে সেখানে গোটা রাজ্যে বোমের কারখানা করা হয়েছ। একটা সময় ছিল যখন অবৈধ অনুপ্রেবশকারীদের বিরুদ্ধে বাংলায় আন্দোলন হত, এখন সেখানে তৃণমূল ওদের আড়াল করছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা ক্রমেই রাজ্যে সংখ্যায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।"