গত বুধবার হওয়া তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের চারটি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হয়। চার আসনে ভোটদানের হারের চূড়ান্ত হিসেব এদিন জানাল নির্বাচন কমিশন।
মালদহ উত্তরে মোট ভোটদানের হার দাঁড়াল ৭৬ শতাংশ। তার মধ্যে পুরুষের মধ্যে ভোটদান হার ৭১.২২ শতাংশ, মহিলাদের সেখানে প্রায় দশ শতাংশ বেশী। শতাংশের বিচারে মালদা দক্ষিণে মহিলারা পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশী সংখ্যায় ভোট দিয়েছেন।
মালদহ দক্ষিণে মোট ভোটদানের হার ৭৬.৬৯ শতাংশ। সেখানে পুরুষ ভোটরদারে ভোটদানের হার ৭১.৩৩ শতাংশ, সেখানে মহিলাদের হার ৮২.১৫ শতাংশ। মালদার মতই এক ছবি মুর্শিদাবাদেও। মুর্শিদাবাদের দুটি আসন- মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুরে ভোটদানের হার পুরুষদের অনেকটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন মহিলারা।
জঙ্গিপুরে পুরুষদের চেয়ে শতাংশের বিচারে মহিলারা প্রায় ১৪ শতাংশের মত বেশী ভোট দিয়েছেন। গতবার তৃণমূলের জেতা জঙ্গিপুরে এবার মোট ভোটদানের হার হয় ৭৫.৭২ শতাংশ। সেখানে পুরুষ ভোটরদারে হার ৬৮.৯১, আর মহিলাদের সেখানে ৮২.৭৫ শতাংশ।
মুর্শিদাবাদে এবার ত্রিমুখি লড়াইয়ের ভোট জমজমাট ছিল। এখানে মোট ভোটদানের হার দাঁড়ায় ৮১.৫২ শতাংশ। মহিলারা এখানে ভোট দেন ৮৬.০৭ শতাংশ, সেখানে পুরুষরা ৮১.৫২ শতাংশ। এর আগে প্রথম দুটি দফাতেও বাংলায় মহিলা ভোটারদের মধ্যে ভোটাদানে উতসাহ দেখা গিয়েছিল। অন্তত ভোটদানের হার তেমনটাই ইঙ্গিত করেছে।
তৃণমূলের দাবি, ভোটের মুখে মহিলাদের মাসিক ভাতা দ্বিগুণ করার খুশিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়-কে আর্শীবাদ করতে রাজ্যের মহিলা বুথে ভিড় জমাচ্ছেন। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নেতা-কর্মী, সমর্থকরা অবশ্য এই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। বিজেপি-র দাবি নরেন্দ্র মোদীর ওপর বাংলার মহিলাদেরর শ্রদ্ধা, আস্থা অনেকটা। তারই প্রতিফলন ভোটদানের হারে। সিপিএম সমর্থকদের দাবি, মালদহ,মুর্শিদাবাদের অনেক গ্রামের পুরুষই ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তাদের অনেকেই আসতে পারেননি বলে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। বাম সমর্থকদের আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতির সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা মহিলারা বুঝতে পেরেছেন বলেই মহিলারা লালে আস্থা দেখাতে ভোট দিচ্ছেন।