
আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) নাইট ডিউটি করা মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মামলার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে। ধৃত সঞ্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃতের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। ঘটনার দিন প্রচণ্ড মদ্যপান করায় সেভাবে কিছু মনে নেই বলে সিবিআই-এর কাছে দাবি করেছে ধৃত সঞ্জয়। তাই এবার ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্ট (Polygraph Test) করার দাবি জানিয়েছে সিবিআই। সোমবার শিয়ালদহ আদালত সিবিআই ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের ।
কী এই পলিগ্রাফ টেস্ট?
কোন সন্দেহজনক ব্যক্তি সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা তা যাচাই করার জন্যে এই পরীক্ষা করা হয়ে ঠ
পলিগ্রাফ টেস্টের সময় সাধারণত চারটি বিষয় লক্ষ্য করা হয়। সন্দেহজনক ব্যক্তির নাড়ির গতি বা পালস রেট , শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি , রক্তচাপ এবং কতটা ঘাম বার হচ্ছে সেই পরিমাণ।
আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হওয়ার চিকিৎসকদের দেহ ঘিরে একাধিক রহস্য তৈরি হয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের মনে। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ওই সেমিনার হলেই ঘটেছিল নাকি অন্য কোথায় অপরাধ ঘটিয়ে সেমিনার হলে দেহ সাজিয়ে রাখা হয়েছিল? কেনই না হাসপাতাল থেকে ফোন করে চিকিৎসকের বাবা-মাকে প্রথমে আত্মহত্যার তথ্য দেওয়া হয়েছিল? কেন মৃতার বাবা-মাকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করানোর পর দেহ দেখতে দেখা হয়েছিল?
আরজি কর ঘটনায় সিবিআই-এর স্ক্যানের হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আজ সোমবার মিলিয়ে পরপর টানা চারদিন তদন্তকারী আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি তিনি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সন্দিপের ফোনের রেকর্ড। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দিপের ফোন থেকে বেশ কিছু কল লিস্ট এবং হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট গত কয়েক দিনে ডিলিট করা হয়েছে। এও জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের পর সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে।