সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজীব কুমারকে ফের জেরা সিবিআইয়ে-র, কী তথ্য উঠে এল?
রাজীব কুমার( File Photo)

কলকাতা, ৭জুন:  দেশের শীর্ষ আদালতের দেওয়া রক্ষাকবচ শেষের পর কতই না ছোটাছুটি। সিবিআইয়ের নোটিসের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দয়ের। এতকিছুর পরেও ফের খবরের শিরোনামে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার ( Rajeev Kumar)। সারদার লাল ডায়েরি, পেনড্রাইভের সন্ধানে এদিন ফের তাঁকে তলব করল সিবিআই। সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে বেলা এগারোটায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন রাজীব কুমার। প্রায় চারঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) দুঁদে আধিকারিকরা। প্রাক্তন নগরপালের বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে বলে খবর। আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে যাচ্ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এর আগে শিলংয়ে প্রায় ৪০ ঘণ্টা রাজীব কুমারকে জেরা করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তার পরেও সারদাকাণ্ডে তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেননি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাই ফের এ দিন তাঁকে তলব করা হয়।শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন। সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা কাণ্ড   (Saradha Scam) ছাড়াও তাঁকে অন্যান্য চিটফান্ড মামলাতেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে চিটফান্ড কাণ্ড সামনে আসার পর রাজ্য সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)গঠন করে। এই দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন রাজীব কুমার। সেই সময় রাজীব কুমারের কী ভূমিকা ছিল, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন এবং দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে কী কী নথি উদ্ধার হয়েছিল,  তা জানতে চায় সিবিআই।

সম্প্রতি আট ট্রাঙ্ক ভর্তি সারদার নথি সিবিআইয়ে জমা করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানা। সারদার তদন্তের ক্ষেত্রে এই নথিগুলি গুরুত্বপূর্ণ হলেও, এখনও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি সারদার সেই লাল ডায়েরি এবং পেনড্রাইভ, যা সারদা তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এবিষয়ে রাজীব কুমার কিছু জানেন কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এ ছাড়াও সুদীপ্ত এবং দেবযানী যখন পলাতক ছিলেন, সেই সময় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হত বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই কল রেকর্ডও পেতে চান তাঁরা।