
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পরেও জামিন পেলেন এক অভিযুক্ত। গত ২০২৪-এর ১১ ডিসেম্বর এক মহিলাকে ধর্ষণ করার কারণে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিশ্চল চন্দক নামে এক যুবক। এই ঘটনার মামলা চলে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court)। মামলা শুরু হওয়ার মাত্র ৪ মাসের মধ্যে শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছাড়া পেলেন তিনি। যা কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা। যদিও জামিন মেলেও মামলা এখনও চলছে। আসলে এই মামলায় অভিযুক্তর পাশাপাশি নির্যাতিতাকেও দোষী বলে মনে করছে আদালত। সেই কারণেই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়।
স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন নির্যাতিতা
পুলিশসূত্রে খবর, ঘটনার দিন যুবক, যুবতী দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এবং সেদিন রাতে নির্যাতিতা অভিযুক্তের বাড়িতে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত তাঁকে তাঁর আত্মীয়ের ফাঁকা ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তবে অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি ছিল, দুজনের সম্মতিতেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন হয়েছিল। পরে মিথ্যা মামলা ফাঁসানো চেষ্টা করছে ওই তরুণী।
দেখুন বিস্তারিত
Allahabad High Court grants bail to Nishchal Chandak, a man accused of raping a woman. He was arrested on 11th December 2024. After hearing the arguments and granting the bail, the court observed that "This court is of the view that even if the allegation of the victim is…
— ANI (@ANI) April 10, 2025
ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি
এই দাবির পর বিচারপতি জানান, "নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হলেও তিনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনেছেন। এমনকী কোনও তথ্য প্রমাণও মেলেনি যে তরুণীকে ঘটনার সময় জোর জবরদস্তি করা হয়েছিল। এরজন্য উনিও খানিকটা দায়ী। তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তার কোনও ক্লিনিকাল প্রমাণ মেলেনি। তবে নির্যাতিতার কুমারীত্ব হারিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর যে ধর্ষণের কারণেই এটা হয়েছে তার কোনও প্রমাণ নেই"।