কলকাতা, ৩০ নভেম্বর: নভেম্বর শেষ, তাও শীতের (Winter) দেখা নেই। নাহলে এতদিনে কম্বল চাপিয়ে ঘুমনোর কথা। কিন্তু শীত প্রিয় বাঙালির কাছে জাঁকিয়ে শীত এখনও অদরা। বরং আজকে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। আর এরকমটা হওয়ার একমাত্র কারণ নিম্নচাপ। নিম্নচাপের (Depression) জেরেই শীত দোরগোড়াতে এসেও তার প্রভাব দেখাতে পারছে না। তবে অনেকের মতে আশা বৃষ্টি শেষ হলেই জাঁকিয়ে শীত পড়বেই। আর সেই আশায় বুক বাঁধছে শীত প্রিয় মানুষরা।
তবে নিম্নচাপের কারণে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহতেই বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। দক্ষিণ তাইল্যান্ড সন্নিহিত অঞ্চলে থাকা নিম্নচাপ বুধবারের মধ্যে অন্দামান সাগরে অবস্থান করবে। পরে ধীরে ধীরে সেটি মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হবে। ২রা ডিসেম্বর নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও দক্ষিণ ওড়িশা সংলগ্ন উপকূলের দিকে এগোবে বলে মনে করছেন আবহবিদরা। এর প্রভাবে শুক্রবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও হাওড়ায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফের বাড়ল করোনা বিধিনিষেধ
আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দু'দিন বঙ্গে ঠান্ডা থাকবে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আশপাশের জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পাশে ঘোরাফেরা করবে। ২ দিন পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। ৩ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণবঙ্গের দুই মেদিনীপুর, দুই 24 পরগনা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়াতে হালকা বৃষ্টি হবে। ৪ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টি বাড়বে। সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। শুধু দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ৫ ডিসেম্বর থেকে বৃষ্টি বাড়বে। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে উপকূলের জেলাগুলোতে হওয়ার গতি থাকবে ৫৫ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। পরে হওয়ার গতি বেড়ে ৭৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। ৩ ডিসেম্বর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে।