ব্রিটানিয়া (Britannia) সংস্থা নাকি সমস্ত রাজ্যপাট বাংলা থেকে গুটিয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। তারাতলায় অবস্থিত তাঁদের সবথেকে পুরোনো কারখানায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কাজ। এমনকী সমস্ত স্থায়ী কর্মচারীদের ভিআরএস দেওয়া হবে এমনও খবর সামনে উঠে আসছিল। কিন্তু রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ডঃ অমিত মিত্র (Dr Amit Mitra) স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই খবর সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো ও ভিত্তিহীন। ব্রিটানিয়া বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছে না। উল্টে সংস্থার কর্তৃপক্ষ এই রাজ্যে এসে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ১২০০-১৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ব্রিটানিয়ার শক্ত ঘাঁটি তৈরি হবে এই রাজ্যেই।
১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই রাজ্যে ব্যবসা করেছে ব্রিটানিয়া সংস্থা। ৯৯ বছরের লিজে নেওয়া তারাতলা বন্দরের জমিটি গত ২০১৮ সালে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই বছরেই আরও ৩০ বছরের জন্য লিজ রিনিউ করে সংস্থার কর্তৃপক্ষ। তারপরেও দিনকয়েক আগে যখন সংস্থার কর্মীরা কারখানায় সামনে যায় তখন দেখতে পায় গেটে তালা ঝুলছে। খবর শোনা যায় সংস্থার ১২২ জন কর্মীকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ, তবে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মীর ভবিষ্যত ছিল অন্ধকারে। কারণ তাঁদের কোনও টাকা দিত না সংস্থা। এমনকী ঠিক কী কারণে সংস্থা বাংলা থেকে ব্যবস্থা বন্ধ করতে চাইছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
#WATCH | Howrah, West Bengal: Principal Chief Advisor to CM Mamata Banerjee, Dr Amit Mitra says, "There's a complete falsehood being stated not only on social media but also on some regular media that Britannia has run away from the state. The Managing Director of Britannia… pic.twitter.com/sWCHksnoq3
— ANI (@ANI) June 26, 2024
এই নিয়ে সুর চড়িয়েছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মন্তব্য করেছিলেন, এই ছবি নতুন কিছু নয়। আগামীদিনে বাংলা থেকে এরকম আরও অনেক বড় সংস্থা চলে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় শিল্পবিরোধী চিত্র তৈরি করতে চাইছে। যদিও মঙ্গলবার অমিত মিত্র স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সংস্থার কর্তৃপক্ষ এবং শেয়ারহোল্ডাররা খুব শীঘ্রই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করবে বাংলায়।