নতুন দিল্লি, ২২ মে: আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত কলকাতা-সহ সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। তিনি সকাল সওয়া দশটা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামবেন। তারপর সেখান থেকে কপ্টারে চেপে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার উপদ্রূত অঞ্চল পরিদর্শনে যাবেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকেই মোদির সঙ্গী হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনের পর কপ্টার নামবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। সেখানেই রয়েছে রাজ্য সরকারের ‘কর্মতীর্থ’ ভবন। কাছের হেলিপ্যাডে কপ্টার নামার পর ওই ভবনেই মমতা ব্যানার্জি-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলা বাহুল্য, বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বসিরহাটের এই হেলিপ্যাটেই নেমেছিল মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার।
এদিকে হেলিপ্যাডের কাছেই রয়েছে কোভিড কোয়রান্টিন কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে সেটি সরিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেও এসপিজি জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরের জন্য ওই কেন্দ্র সরানো যাবে না। এই সফরে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জের দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকোনও ত্রাণ শিবিরে যাবেন না কি দুর্গতরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। আরও পড়ুন-CM Mamata Banerjee On Cyclone Amphan: ‘আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা আয়লার থেকে অনেক বেশি, করোনার থেকেও ভয়াবহ’, মমতা ব্যানার্জি
Prime Minister Narendra Modi's last visit was to Prayagraj and Chitrakoot in Uttar Pradesh on February 29. PM Modi is going on a tour after 83 days (almost 3 months). https://t.co/J0jZ5dEuzR
— ANI (@ANI) May 22, 2020
এদিকে প্রথম ঠিক ছিল, প্রধানমন্ত্রী বিমানে কলাইকুণ্ডায় নামবেন। তার পর কপ্টারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ও সংলগ্ন এলাকা দেখে ডায়মন্ড হারবারে যাবেন। সেখানে কথা বলবেন ওই জেলার দুর্গতদের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন দিল্লিকে জানায়, ওখানে হেলিপ্যাড তৈরি করার মতো পরিস্থিতি এখন নেই। তার পর নবান্ন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের আলোচনার ভিত্তিতে বসিরহাটে মোদির সফর চূড়ান্ত হয়। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চয়ই চাইব, তিনি আসুন। এলে তো ভালই। কেন্দ্র এই তাণ্ডবের ভয়াবহতা জানতে পেরেছে। পাশাপাশি আমরাও তাদের বলেছি। আশা করি সহযোগিতা পাব। তবে যত ক্ষণ না-পাই, কিছু বলতে পারব না। আমরা কোনও বিতর্ক চাই না।’’ বসিরহাটে বৈঠকের পরই ওড়িশার উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।