Nabanna (Photo Credits: Wikimedia)

বিষাক্ত স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে (Medinipur Medical College) প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এরমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ১৩ জনের একটি তদন্তকারী দল গঠন করেছে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্নের তরফ থেকে এই তদন্তের রিপোর্ট রবিবারের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত কার গাফিলতিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে, এবং হাসপাতালের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের বোতল এল কী করে, সেটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ২ দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা

অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজগুলিতে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যে সংস্থার স্যালাইনের কারণে রোগী মৃত্যু বা অসুস্থ হয়ে পড়ছে, সেই সংস্থার স্যালাইন বা কোনও ওষুধ আপাতত ব্যবহার করা যাবে না। আপাতত সেগুলির নমুনা পরীক্ষা হবে তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভবিষ্যতে ওই সংস্থার জিনিসপত্র হাসপাতালে ব্যবহার হবে কিনা।

মেদিনীপুর হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হয় বছর ২১-এর মামনি রুই দাস। গত বৃহস্পতিবার সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। অভিযোগ, তারপরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়, তারপরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় হাসপাতালের গাফিলতি ও বিষাক্ত স্যালাইনের কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার। এমনকী হাসপাতালের আর দুই রোগীর ভর্তির পরেই অবস্থা সঙ্কটজনক হয় বলে জানা যাচ্ছে।