মুকুল রায় (Photo credit-ANI)

কলকাতা, ২ আগস্ট: রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে। বড় বাজার থানার পুলিশের দায়ের করা মামলার ভিত্তে ব্যাংকশাল কোর্টে বহুবার মামলার শুনানি হয়েছে। গত সাত মাসে কোনও বারই আদালতের নির্দেশে মেনে এজলাসে হাজির থাকেননি মুকুল রায়। শেষবারের শুনানিতে তাই মকুল রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। যদিও আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যাবে না, জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। আরও পড়ুন-ডেঙ্গি থেকে সাবধান বাংলাদেশের মশা এসে কামড়ে দিতে পারে, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

উল্লেখ্য, ব্যাংকশাল কোর্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর পেয়েই  দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন মুকুলবাবু। হাইকোর্ট এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দিয়েছে, মুকুল রায়কে জেরা করতে হলে তদন্তকারী অফিসারকে দিল্লি আসতে হবে। এমনকী আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তারও করা যাবে না।  দিন মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি তো বলিনি তদন্তে সহযোগিতা করব না। কিন্তু আমি দিল্লির বাসিন্দা। আমায় জেরা করতে হলে এখানে আসতে হবে। আদালত সে কথাটাই এ দিন বলেছে।” তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে ভয় পাচ্ছেন। তাই পুলিশ লেলিয়ে এই সব করছেন। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না।”

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে কল্যাণরাজ বলওয়ান নামের এক ব্যক্তিকে ৯০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ-সহ গ্রেপ্তার করে বড়বাজার থানা। পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, ধৃতকে জিজ্ঞেসাবাদ করেই মুকুল রায়ের নাম জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে রুজু হয় প্রতারণা ও দূর্নীতির মামলা। ধারাবাহিক হাজিরা না দেওয়ায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। নির্দেশ দেন একমাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। বিজেপি দ্বিতীয় বার ক্ষমতায়আসতেই দিল্লিতে পাকাপাকি ভাবে থাকতে শুরু করেছেন মুকুল রায় তাই আইনিজটিলতা কাটাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।