
কলকাতা, ২২ মে: বিজেপি (BJP)-তে হেভিওয়েটরা যোগ দেওয়ার কথা ভাবলেই বিশেষ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার প্রবণতাটা অধিকারী পরিবারের ক্ষেত্রেও বজায় থাকল। বিজেপিতে যোগ দেওার পর শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জেড শ্রেণীর বিশেষ নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অধিকারী পরিবারের দুই সাংসদ- শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) ও তাঁর ছেলে তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)-কে বিশেষ ওয়াই প্লাস (Y+ security) কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হল। সূত্রের অন্তত ৬জন নিরপত্তারক্ষী দ্বারা সুরক্ষিত রাখা হবে শিশির ও দিব্যেন্দুকে। ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হল বলে জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, গতকাল শুক্রবার রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কাঁথিতে এসে পৌঁছে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আরও পড়ুন: COVID-19 Vaccine for Bank Employees: ব্যাঙ্ক কর্মীদের করোনাযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা, সকলকে টিকা দেবে রাজ্য সরকার
বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দুও সরকারীভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও এখনও দিদির দলেই আছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও এখনও তৃণমূলেই আছেন। যদিও বিধানসভা ভোটে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগে দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলের শীর্ষস্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে শিশির-দিব্যেন্দুর দূরত্ব বাড়তেই তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলেঢালা হয়েছে। আর তাই কেন্দ্রীয় স্তর থেকে তাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল বলে খবর। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুভেন্দুকে বিরোধী দলনেতাও করা হয়েছে। শুভেন্দুর বাবা ও ভাইকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিল বাংলায় পদ্ম ফোটাতে অধিকারী পরিবারের প্রতি আস্থা রাখছে তারা।
কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চ্যাটার্জি বিজেপিতে যোগদানের পরই বিশেষ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, কংগ্রেস সরকারের বিরদ্ধে তোপ দাগার পর কঙ্গনা রানওয়াতের জন্যও বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।