কাটা আঙুল নিখোঁজ: বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে ব্যস্ত হাসপাতাল কর্মীরা! তাই গাফলতিতে হারিয়েছে স্বামীর কাটা আঙুল, অভিযোগ যুবকের স্ত্রী-র
দুর্ঘটনায় জখম সেই যুবক। (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ১২ জুলাই: Man's Severed Finger Goes Missing From Hospital- কলকাতার হাসপাতালে রোগীর কাটা আঙুল হারানো কাণ্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ। পথ দুর্ঘটনায় আঙুল কেটে যাওয়ার পর, সেটা হাসপাতালে এনে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করেছিল দুর্ঘটনায় জখম নীলোৎপল চক্রবর্তী ( Nilotpal Chakraborty)-র পরিবার। বাইক চালানোর সময় টোটোর সঙ্গে সংঘর্ষে নীলোৎপলের অনামিকা কেটে গিয়েছিল। সেই আঙুল জোড়া লাগানো সম্ভব ছিল সঠিক সময়ে অপারেশনের মাধ্যমে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে রোগীকে ওটিতে ঢোকানোর পর দেখা যায়, হাসপাতালের হেফাজত থেকে হারিয়েছে আঙুলের টুকরোটি!

CCTV ক্যামেরার ফুটেজ দেখার পরেও কোনও হদিশ মেলেনি কাটা আঙুলের। দুপুর ২টো পর্যন্ত আঙুলের খোঁজ না পাওয়ার পর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, এর পর আঙুল পেলেও জোড়া যাবে না। আরও পড়ুন-প্রশান্ত কিশোরের টোটকায় তৃণমূলে এখন কী কী নতুন নিয়ম চালু হচ্ছে

হাসপাতাল কর্মীরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত-নিউ জিল্যান্ড ম্য়াচ দেখতে ব্যস্ত ছিলেন বলে এত বড় গাফলতি করেন বলে অভিযোগ করলেন দুর্ঘটনায় জখম যুবকের স্ত্রী চয়নিকা চক্রবর্তী। অপারেশনের জন্য সংরক্ষিত অঙ্গ কীভাবে হারিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।

দুর্ঘটনায় আঙুল হারানো যুবকের স্ত্রী চয়নিকা-র অভিযোগ,'' বুধবার তাঁরা যখন নীলোৎপল চক্রবর্তী হাসপাতালে আসেন, তখন হাসপাতালের কর্মীরা টিভিতে ভারতের ম্যাচ দেখায় এত ব্যস্ত ছিলেন, যে এত বড় গাফলতি হয়ে গেল। তারা নিয়ম মতই কাটা আঙুল জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দু ঘণ্টা খোঁজের পর তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় আঙুলটি নিখোঁজ।''

প্রসঙ্গত, বুধবার দুপুরে হাওড়ার ফোরসোর রোডে দুটো নাগাদ একটি টোটোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে নীলোৎপল চক্রবর্তীর। টোটোর সঙ্গে সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে যান বছর ৩৪-এর এই যুবক। সেই সময়ে বাইকের ক্লাচে আঙুল চেপে গিয়ে অনামিকার অর্ধেকটা কেটে পড়ে যায়। স্থানীয় এবং বন্ধুদের সহায়তায় নীলোৎপলকে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে জানানো হয়, সে মুহূর্তে ওই হাসপাতালে ভাস্কুলার সার্জেন ও প্লাস্টিক সার্জেন না-থাকায় অপারেশনে দেরি হবে। কাটা আঙুলটি ওই হাসপাতাল থেকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্যাকেটে ভরে দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নীলোৎপলকে CMRI-তে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানেই ঘটে এই বিপত্তি।