শিলিগুড়ি, ৩ জানুয়ারি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিরোধী শিবিরকে জবাব দিতে পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এবার সেই পাকিস্তান ইশুকেই হাতিয়ার করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। শিলিগুড়িতে (Siliguri) প্রতিবাদ মিছিল শুরুর আগে পাাকিস্তান নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেত্রী। শুক্রবার সভামঞ্চ থেকে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা। বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কি পাকিস্তানের (Pakistan) ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার (Ambassador of Pakistan) হয়ে গেছেন?" পাশাপাশি সমস্ত কথায় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের কথা সামনে আনছেন বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমাদের দেশ সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে ভরা। আপনি কেন নিয়মিত আমাদের দেশকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন? দেশের বিজেপি নেতারা বলছে পাকিস্তান চলে যাও, সব কিছুতেই পাকিস্তান।" এরপরই নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, "হিন্দুস্থান ভুলে গেছেন মোদি। আপনি কি ভারতের প্রধানমন্ত্রী? নাকি পাকিস্তানের অ্যাম্বাসাডার? আপনি কেন প্রতিটি ইশুতে পাকিস্তানের নাম করন?" মমতা বলেন, "হিন্দুস্থানে থেকে পাকিস্তান চর্চা করা হবে না। পাকিস্তানের মাদুলি আমাদের চাই না।" আরও পড়ুন: Narendra Modi In Karnataka: পাকিস্তানের বদলে সেদেশ থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কংগ্রেস, বললেন নরেন্দ্র মোদি
শিলিগুড়িতে সংবিধান বিরোধী সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ #NoCAANoNRC pic.twitter.com/3RTr9vxUtc
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) January 3, 2020
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, "দেশবাসীর মনে প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তান থেকে প্রাণ হাতে নিয়ে এদেশে এসেছেন অনেকে। বাড়ির মেয়েদের জীবন বাঁচাতে চলে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন বিক্ষোভ হচ্ছে। কিন্তু পাকিস্তানে তাঁদের উপরে যে অত্যাচার হয়েছে, সে নিয়ে তাঁদের মুখ তালাবন্ধ।" এরপরই কংগ্রেসকে তুলোধোনা করে মোদির বক্তব্য, "ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সেখানে অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁরা বাধ্য হয়ে এদেশে শরণার্থী হয়েছেন। কংগ্রেস ও তার শরিকরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু বলে না। বরং শরণার্থীদের বিরোধিতায় সভা-সমাবেশ করছে ওরা। সংসদে যারা আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তাদের বলতে চাই, আন্তর্জাতিকস্তরে পাকিস্তান অপকর্ম ফাঁস করার সময় এটা। আন্দোলন করতে হলে ৭০ বছর ধরে পাকিস্তান সংখ্যালঘু নির্যাতন বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। পাকিস্তানের হিন্দু, দলিত, পীড়িত ও শোষিতদের সমর্থনে মিছিল করুন।"