বিগত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত রয়েছে মুর্শিদাবাদ। জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ একাধিক এলাকায় দফায় দফায় পড়েছে বোমা। চলেছে গুলি, এমনকী পুলিশ দেখলেই ইটবৃষ্টি করা হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত, ওয়াকফ আইনের (Waqf Act) প্রতিবাদে চলা আন্দোলন বদলে যায় সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে।  এই ঝামেলার জেরে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোর সহ তিনজনের। আহতও হয়েছে অনেকে। যার মধ্যে রয়েছে একাধিক পুলিশকর্মী। তবে রবিবার থেকে কিছুটা স্বাভাবিক চিত্র দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদে। বিগত কয়েকঘন্টায় নতুন করে অশান্তি হয়নি বলে দাবি পুলিশের।

নতুন করে হয়নি অশান্তি

রবিবার রাজীব কুমার আশ্বস্ত করেন, মুর্শিদাবাদ আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রবিবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ এলাকাগুলিতে রুটমার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত নতুন করে অশান্তি হয়নি বলেই খবর। তবে এখনও এলাকাগুলি থমথমে রয়েছে। আতঙ্কে বাইরে বেরোচ্ছেন না মানুষজন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সুতি ও সামশেরগঞ্জ থেকেই ১৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দেখুন রাজীব কুমারের বক্তব্য

কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ হয় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায়

বিগত কয়েকদিন ধরে চলা অশান্তিতে একাধিক মানুষের ঘরবাড়ি, দোকানপাট নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সরকারি সম্পত্তি। এই অবস্থায় গতকালই রাজীব কুমার বলেছিলেন, গুন্ডাগিরি কখনই বরদাস্ত করা হবে না। পরিস্থিতি যাঁরা উত্তপ্ত করছেন, তাঁদের কড়া হাতে দমন করা হবে। এরপর অবশ্য হাইকোর্টের নির্দেশে রাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদে। ডিজির সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারের বৈঠক হয়। তারপেরই আজ সকাল থেকে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে রুটমার্চ করেন তাঁরা।