মালদহ, ১ জুলাই: রাজ্য নেতৃত্বদের তোলা দিতে পারেননি, তাই তাঁকে অপসারণ করা হল। অপসারিত হওয়ার পর ২৪টা ঘণ্টা কাটার আগেই রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের দিকে এমনই অভিযোগের আঙুল তুললেন বিজেপির জেলা নেতা। ওই নেতার নাম সঞ্জিত মিশ্র। তিনি মালদহের জেলা সভাপতি ছিলেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। কাটমানি নিয়ে যখন তৃণমূলের অন্দরমহলে কেচ্ছার শেষ নেই, ঠিক তখনই তোলাবাজির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্রোহের আগুন উসকে দিল বিজেপির জেলা নেতারা। আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গকে আশায় রেখে ওড়িশায় বর্ষা আনছে নিম্নচাপ, রাজ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা
রবিবার রাজ্যের আট জেলা সভাপতি বদল করে রাজ্য বিজেপি। তার মধ্যে মালদহও ছিল। অপসারিত হওয়ার চব্বিশ কাটার আগেই রাজ্যের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কামান দাগলেন সঞ্জিত। তিনি বলেন, “রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে তোলার টাকা পৌঁছে দিইনি বলেই জেলা বিজেপি সভাপতির পদ থেকে আমাকে অন্যায় ভাবে সরানো হয়েছে।” পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুমকিও দেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সংগঠন সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “এই ষড়যন্ত্রের পিছনে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে।” সঞ্জিতের নিশানা থেকে বাদ যাননি রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও। প্রতিকার চেয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের দ্বারস্থ হবেন বলেও ঘোষণা করেন সঞ্জিত।
শুধু এই অভিযোগই নয়, সঞ্জিত ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিয়ে বলেছেন, “রাজ্য নেতৃত্ব বলেছিল হবিবপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলকে আসন ছাড়তে। আমি তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়া করিনি বলেই আজ আমায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” হবিবপুরের সিপিএম বিধায়ক ছিলেন খগেন মুর্মু। তিনি বিজেপি-তে যোগ দিয়ে এখন সাংসদ। তাঁর জায়গায় বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন জুয়েল মুর্মু।