ছাত্রদের রক্ত ঝড়ছে বাংলাদেশে। প্রতিটা সময়ই নয়া মোড় নিচ্ছে ছাত্র আন্দোলন। পুলিশ ও ছাত্রদের সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। সরকারিভাবে এই সংখ্যা প্রকাশিত হলেও মৃতের সংখ্যা ৪০ ছাড়িয়েছে বলে দাবি অনেকের। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী রয়েছেন। বাংলাদেশের এই আগুনের আঁচ এসে পড়েছে এদেশেও। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্র যুব সংগঠনগুলি। এদিন সকালে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল বাম ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও। সেখানে তাঁদের পুলিশ আটকালেও পরবর্তীকালে বাংলাদেশের দূতাবাসের সামনে উপস্থিত হন তাঁরা। সেখানে আন্দোলনকারীদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (All India Student's Association) পক্ষ থেকেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীকালে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে আটক করে পুলিশ।
পদ্মাপারের দেশে বর্তমানে ছাত্র আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। গোটা দেশ কার্যত শাটডাউন হয়ে পড়েছে। বন্ধ ট্রেন চলাচল, সংবাদমাধ্যম, ইন্টারনেট পরিষেবা। সূত্রের খবর, শুক্রবার থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে পড়েছে। খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোহর, রংপুর সহ একাধিক জায়গায় প্রবলভাবে ছাত্র আন্দোলন হচ্ছে। পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের খণ্ডযুদ্ধে আহত হয়েছেন অনেকে। তবুও এই আন্দোলন থামার নাম নিচ্ছে না। অন্যদিকে প্রতিবাদীদের দমাতে বদ্ধ পরিকর হাসিনার সরকার।
VIDEO | Police detain All India Students' Association (AISA) members in Kolkata, who were participating in a solidarity march over the death of students during protests over the quota system in Bangladesh.
(Full video available on PTI Videos - https://t.co/n147TvqRQz) pic.twitter.com/3EkyJp0whI
— Press Trust of India (@PTI_News) July 19, 2024
এই পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বে সমালোচিত হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকী নিজের দেশেই বিরোধী শিবির এই নিয়ে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে। সংরক্ষণ নিয়ে প্রতিবাদে সম্প্রতি রাস্তায় নেমেছিল অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। সেখানে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ বাহিনী। তারপর থেকেই ক্রমশ এই প্রতিবাদ মাত্রা ছাড়াচ্ছে। রক্ত ছড়েছে আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মীদেরও।