Kasba Fake Vaccination: দেবাঞ্জন দেব 'জালিয়াত',কসবা ভুয়ো ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে তৎপর পুলিশ
ছবি ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার

কলকাতা, ২৫ জুন: কসবায় জাল ভ্যাক্সিনেশনের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন আইএমএ-র রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক শান্তনু সেন (Dr Santanu Sen)  । তিনি বলেন, ভ্যাকসিনের নাম করে কসবায় যা হয়েছে, তা সংগঠিত অপরাধ। বিষয়টি কানে যেতেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে, ওই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প থেকে কীসের ইনজেকশন দেওয়া হয়, তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে পুরসবার তরফে।

পাশপাশি কসবার (Kasba) ওই ক্যাম্প থেকে যাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তাঁদের শরীরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেও সজাগ পুরসভা। শান্তনু সেন আরও বলেন, দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb) একজন ভুয়ো আইএএস অফিসার, তা বঝার পর আর সময় নষ্ট করা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ দায়ের করা হয় মুচিপাড়া থানায়। দেবাঞ্জনের বিষয়ে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়, সে বিষয়ে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয় বলে জানান শান্তনু সেন।

আরও পড়ুন: আমরা সবাই ভিক্টিম, ভুয়ো ভ্যাকসিন চক্রের পর্দা ফাঁসের পর সচেতনতার বার্তা মিমির

বুধবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী। পুরসভার যুগ্ম কমিশনারের উদ্যোগে সেখানে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু এবং সমকামী মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে সেখানে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী। অন্যদের সঙ্গে মিমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নেওয়ার পর মিমির মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি। সার্টিফিকেটের জন্য জিজ্ঞাসা করলে, জানানো হয়, তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়িতে সার্টিফিকেট না পৌঁছনোর পর মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপরই কসবার ওই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে তিনি খোঁজ শুরু করেন। পুলিশকে খবর খবর দেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবকে।

এরপরই বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসে আরও একটি তথ্য। জানা যায়, ভ্যাকসিনের নাম করে কসবার ওই ক্যাম্প থেকে যা দেওয়া হয়, তা পাউডার গোলা জল। ফলে টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না বলেই আশা প্রকাশ করা হয়।