কলকাতা, ২৪ জুন: কারও হাতে এখন আর কিছু নেই। তাই কেউ ভয় পাবেন না, প্যানিক করবেন না। নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই তা হাতে চলে আসবে। তারপরই বোঝা যাবে, দেবাঞ্জন দেব নামে ভুয়ো আইএএস অফিসার যে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করেন, সেখানে আদতে কী দেওয়া হয়। তবে কসবার ওই ভ্যাকসিন ক্যাম্পে টিকার নাম করে যে ইনজেকশন দেওয়া হয়,তাতে হয়ত ক্ষতিকারক কিছু ছিল না। তবে তা আদতে ভ্যাকসিন ছিল কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়ে আসার পরই। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো (Video) পোস্ট করে এমনই জানান মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
View this post on Instagram
তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদ অভিনেত্রী বলেন, বর্তমানে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে,তার জন্য সজাগ থাকতে হবে প্রত্যেককে। মানুষ সজাগ থাকলে, তবে আর এই ধরনে মানুষ কারও ধারপাশে ঘেষতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন মিমি।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সবাই মাস্ক পরুন, সচেতন থাকুন, বার বার স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। বুধবার কসবার ঘটনার পর যেভাবে পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যম তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে,তার জন্যও প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান মিমি চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত বুধবার কসবার একটি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী। পুরসভার যুগ্ম কমিশনারের উদ্যোগে সেখানে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু এবং সমকামী মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। আমন্ত্রণ পত্র পেয়ে সেখানে হাজির হন মিমি চক্রবর্তী। অন্যদের সঙ্গে মিমি নিজেও ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) নেওয়ার পর মিমির মোবাইলে কোনও মেসেজ আসেনি। সার্টিফিকেটের জন্য জিজ্ঞাসা করলে, জানানো হয়, তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়িতে সার্টিফিকেট না পৌঁছনোর পর মিমি চক্রবর্তীর সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এরপরই কসবার ওই ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প নিয়ে তিনি খোঁজ শুরু করেন। পুলিশকে খবর খবর দেন।
আও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনকে WHO-এর অনুমোদন নিয়ে পদক্ষেপ করুন মোদী, চিঠি মমতার
এরপরই জানা যায়, ভুয়ো আইএএস অফিসার সেজে দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি কসবায় ওই ক্যাম্পের আয়োজন করেন। ঘটনার জেরে গ্রেফতারও করা হয়েছে একজনকে।