মুখ্যমন্ত্রী অনশন তোলার আবেদন করেছেন। কিন্তু তারপরেও সোমবারের আগে অনশন উঠবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior Doctors)। দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছিলেন চিকিৎসকেরা। সেই সময় তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে সেভাবে ভাবনাচিন্তা করেনি রাজ্য সরকার। কিন্তু লক্ষ্মীপুজো মিটতেই শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব ছুটে আসেন অনশনমঞ্চে। সেখানে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন চিকিৎসকেরা। সেখানে অনশনের তোলার জন্য আবেদন জানান তিনি। কিন্তু সেটার প্রতুত্তরে এদিন আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আজ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই আন্দোলন মিটবে। কিন্তু উনি আজ ব্যস্ত, তাই সোমবার তিনি আলোচনায় বসবেন। তাই আমরাও সোমবার আন্দোলন বৈঠকের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে বলেন, আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি যে অনশন তুলে তাঁরা যেন কাজে ফেরেন। ইতিমধ্যেই ৪ দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ আমরা করতে পারব না। আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে মেডিকেল কলেজগুলির মধ্যে নির্বাচন হবে সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভবিষ্যতের জন্য।

চিকিৎসকরা এদিন এও জানিয়ে দেয় যে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার মিছিল হবে। এবং সোমবারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যদি সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তবেই এই অনশন তুলবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে একটা জিনিস পরিস্কার যে মুখ্যমন্ত্রী ফোনেও এই অনশন তুলতে নারাজ প্রতিবাদীরা।