সুলেখা মোড়ে ধুন্ধুমার (Picture Credits: ANI)

কলকাতা, ৭ জানুয়ারি: একই দিনে তিনটি মিছিল মুখোমুখি এসে পড়ায় ধুন্ধুমার বেধে যায় যাদবপুর সুলেখা মোড়ে (Sulekha)। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা রাস্তা। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, বাঘাযতীন মোড় থেকে এনআরসির সমর্থনে বিজেপির (BJP) একটি মিছিল এগোতে থাকে যাদবপুরের দিকে। অন্যদিকে জেএনইউ (JNU) ছাত্রছাত্রীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে রবিবারের মতো সোমবারও একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) পড়ুয়ারা। আবার ৮ তারিখ বনধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে বামেরা। তিনটি মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায় সুলেখা মোড়ে। তার পরেই অশান্তি, বচসা, ধাস্তাধস্তি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সুলেখা মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বাম ছাত্রদের বিরুদ্ধে দলের পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ওপরে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে যাদবপুর থানায় এসে হাজির হয় পড়ুয়ারা। এ বঙ্গের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস এমনটা দেখেনি। মিছিলের বিশৃঙ্খলা ভাঙতে ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ, তার পরে আবার প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইল।পরিষ্কার জানাল, অর্ডার না থাকা সত্ত্বেও লাঠি চার্জ করে ফেলায় তারা দুঃখিত। আরও পড়ুন, ‘আমাকে খুনের জন্য পরিকল্পিত হামলা, তবে দমে যাইনি’ মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ঐশীর সাংবাদিক সম্মেলন

যাদবপুরের ঘটনার পরেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি (Partha Chatterjee) সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জেএনইউ এর ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষিকার ওপর বর্বরোচিত আক্রমণের বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সেই সময় বিজেপি সেই পথে চলে আসে। অভিযোগ উঠছে এবিভিপি সদস্যদের বিরুদ্ধে তাদের ওপর অকথ্য ভাষা ও শারীরিক নির্যাতনের। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করছি ও পুলিশের ভূমিকা যে আরও সংযত হওয়া উচিত সেটা মনে করিয়ে দিতে চাই ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনে পুলিশের ব্যবহার বা পুলিশ আরো বেশি সংযত থাকবে এটাই বোধহয় কাম্য। আমি অবশ্যই শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।"