নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: একদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের মধ্যেই অতর্কিত হামলায় রক্তাক্ত হতে হয়েছিল তাঁকে। মাথা ফেটেছে, কপাল বেয়ে অঝোরে ঝরছে রক্ত। এই ছবি এখন দেশের সবকটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। নিন্দায় মুখর রাজনীতিবিদ থেকে সেলিব্রিটি। আজ মাথায় একাধিক সেলাই নিয়েই সাংবাদিকদের ক্যাম্পাসে ফিরলেন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ (Aishe Ghosh)। মাইক হাতে স্পষ্ট বললেন, “পূর্ব পরিকল্পনা করেই তাঁকে মারার ছক কষা হয়েছিল। পুলিশকে আগাম জানানো সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বহিরাগতদের ব্যাপারে পুলিশের কাছে খবর ছিল। তারা বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরেই ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়ালো। অথচ তাও এই হামালা এড়ানো গেল না।”
“মেরে ফেলার জন্যেই হয়েছিল হামলা। শিক্ষকদের বৈঠকে হামলা হয়েছে শুনে আমি হোস্টেলের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমার ওপরে হামলা করা হয়। নির্মমভাবে পেটানো হয়। যারা হামলা চালায়, তারা বলতে থাকে এখানেই মেরে ফেল। পরে অবশ্য তারা ফিরে যায়। তবে মার খেয়ে দমে গিয়েছি ভাবার কারণ নেই। হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়বে। লড়াই জারি থাকবে। সরকার ক্যাম্পাসে লোক ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ইচ্ছাকৃতভাবে খুনের চেষ্টা হয়েছে। কী করতে চাইছে সরকার!” রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর ওপর যে হামলা হয়েছে, তা দেখে শিউড়ে উঠেছে গোটা দেশ। রক্ত ঝরছে মাথা বেয়ে। মুখে রক্তমাখা। লোহার রড, ব্যাট নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে এবিভিপি, অভিযোগ উঠেছে এমনই। আরও পড়ুন-Mamata Banerjee: ৮ তারিখে ভারত বনধে মুখ্যমন্ত্রীর না, রুখে দেখাক; হুমকি দিলেন বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী
তিনি আরও বলেন, “রবিবার দুপুর থেকেই ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ভিড় হতে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়াকে সেসময় মারধরও করা হয়। আমার নিজের ফোন থেকে কিছু ছবি পাঠাই পুলিশকে। ক্যাম্পাসে রড, লাঠি নিয়ে যে বহিরাগতরা জড়ো হয়েছে, তা পুলিশকে জানালে বলা হয়, বহিরাগতরা আর নেই। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁরাই সন্ধ্যেতে হামলা চালায়।”