CM Mamata Banerjee with TMC's New elected MPs. (Photo Credits: X @_TheEnigmous)

কলকাতা, ৮ জুন: বাংলায় অসাধারণ ফলের পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় আরও আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ল। বিজেপির বিরোধিতার সুর চড়ালেন দিদি। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জয়ী দলের ২৯ জন প্রার্থী-সাংসদদের পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, "আমি খুবই দু:খিত, কিন্তু কোনও অসাংবিধানিক, অবৈধ দলকে সরকার গড়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে পারব না। আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই দেশকে। আমি দেশের সব সাংসদ-দের বলব নিজের দলকে শক্তিশালী করুন। আমরা আপনার দল ভাঙব না। কিন্তু আপনার দলেই অনেক অসন্তোষ, আপনার দলের অনেকেই খুশি নয়।"

একদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পিছনে শত্রুঘ্ন সিনহা, ইউসুফ পাঠান, প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মমতা বললেন," ইন্ডিয়া জোট এখন সরকার গড়ার চেষ্টা করেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আগামিকাল করবে না। আমরা আসলে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করছি। দেশের অনেকেই মোদীকে সিংহাসনে দেখতে চায় না।"আরও পড়ুন-যে কারণে যোগী রাজ্যে প্রথমবার লোকসভা আসন জেতার কাছ থেকে ফিরতে হল তৃণমূলকে

দেখুন ভিডিয়ো

প্রসঙ্গত, লোকসভায় ভোটপ্রাপ্তির বিষয়ে জন্মলগ্নের পর এবারই সবচেয়ে বেশী পেয়েছে তৃণমূল। ২০১৪ লোকসভায় তৃণমূল ৩৫টি আসনে জিতলেও দিদির দলের ভোট প্রাপ্তির হার ছিল ৩৯.৮০ শতাংশ। সেখানে এবার ২৯টি লোকসভা আসন পাওয়া তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তির হার ৪৫.৮০ শতাংশ। ২০১৯ লোকসভা ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩ শতাংশ ভোট। এবার উত্তরবঙ্গে মাত্র একটা আসন জিতলেও ভোটের হার অনেকটাই বাড়াতে পেরেছে তৃণমূল। মালদা আর অধিকারী গড় বাদ দিলে এবার বাংলায় সব জায়গায় দিদির ঝড় চলেছে।

এদিকে, সংবাদমাধ্যমে জোর জল্পনা, বাংলার তিন বিজেপি সাংসদ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। মোদী মন্ত্রিসভায় বাংলার প্রতিনিধি কেমন হয় তার ওপরেও নির্ভর করছে অনেক কিছু। তিন বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের পর বঙ্গ বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরেছিল। একর পর এক জেলা থেকে বিজেপি বিধায়ক-নেতা, কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বঙ্গ বিজেপির এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হল দিল্লিতে একা মোদী নয় এনডিএ সরকার হয়ে যাওয়ায়। মোদীকে এখন শরীকদের ভরসায় চলতে হওয়ায় বাংলার বিজেপি নেতারা আশঙ্কায়। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে হলে সবার আগে এখন থেকে দলের ভাঙন রোখায় জোর দিচ্ছে রাজ্যে বিজেপি। তবে তার আগে হারের বিস্তারিত সমীক্ষা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে সুকান্ত, শুভেন্দুদের।