লখনৌ, ৮ জুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে হারাতে বাংলায় ছুটে এসেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। যোগীর সভা করা বাংলার প্রায় সব কেন্দ্রেই হারে বিজেপি। যোগী বাংলায় না পারলেও, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা কিন্তু যোগী গড়ে ছাপ ফেললেন। অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে লড়ে উত্তর প্রদেশে লোকসভা আসন জেতার কাছে চলে গিয়েছিলেন দিদি। উত্তর প্রদেশে একটি বিধানসভা আসনে লিডও পায় তৃণমূল। সব ঠিক থাকলে অখিলেশের সঙ্গে জোট গড়লে ২০২৭ ইউপি বিধানসভা নির্বাচনে আসন জেতার সম্ভাবনাও আছে তৃণমূলের।
এবার ইউপি-র ভাদোহি লোকসভা আসনে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান তৃণমূলের ললিতেশ পতি ত্রিপাঠি (Lalitesh Pati Tripathi)। এই আসন থেকে গত দুটি লোকসভায় জিতেছিল বিজেপি। কঠিন আসনে কিন্তু এবার দারুণ লড়ল তৃণমূল। শেষ অবধি তৃণমূল প্রার্থী ৪৪ হাজার ভোটে বিনোদ কুমার বিন্দের কাছে হারেন। যোগী রাজ্যে একেবারে কড়া টক্কর চলে দুই ফুলের মধ্যে। তৃণমূলের হারের প্রধান হয়ে যায় মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি। বিরোধী ভোট ভাগাভাগি করে বিএসপি প্রার্থী হরিশঙ্কর পান ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ভোট। সেখানে তৃণমূলের ললিত ত্রিপাঠি পান প্রায় ৪ লক্ষ ১৬ হাজার ভোট। বিএসপি প্রার্থী ভোট না কাটলে ইউপি থেকে প্রথমবার লোকসভা আসন পেত তৃণমূল। তবে শুধু তৃণমূল নয়, মায়াবতীর বিএসপি-র জন্য বিরোধী ভোট ভাগাভাগির অঙ্কে উত্তর প্রদেশে INDIA-জোটকে অন্তত ১২টা আসনে হারতে হল। আরও পড়ুন-বিজেপিকে ধরাশায়ী করে ইস্তফা বিধায়ক অখিলেশ যাদবের, ওয়ানাড় ছাড়ছেন রাহুল গান্ধী
গত লোকসভায় এই আসনে বিএসপি ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। এবার বিজেপি-র প্রধান বিরোধী হিসেবে বিএসপি-কে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় হয় তৃণমূল। তৃণমূলকে জেতাতে দারুণ পরিশ্রম করে অখিলেশের দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে গেলে সেখানে নিশ্চিত আসত বলে ইউপি তৃণমূলের নেতাদের আক্ষেপ।
কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক ললিতেশ পতি ত্রিপাঠি ২০২১ সালে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলপতি ত্রিপাঠির নাতি। ললিতেশের কারণে ইউপি-র বেশ কিছু অংশে সীমিত সাধ্য নিয়ে লড়ছে তৃণমূল। গত বছর সর্বভারতীয় দলের তকমা হারায় তৃণমূল। ফের সেই তকমা পেতে উত্তরপ্রদেশে আলোর পাচ্ছে দিদির দল। তবে উত্তর পূর্ব ভারতে একা লড়ে একেবারেই ভাল ফল হয়নি বাংলার শাসক দলের।