নতুন দিল্লি, ২৭ জুলাই: করোনাভাইরাস যেন অপ্রতিরোধ্য। দুরন্ত গতিতে তার প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। দুদিনেই লাখের গণ্ডি ছুঁয়ে এগিয়ে চলেছে সে। ভারতবর্ষে মহামারীর ব্যপকতা দেখে সতর্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। মন কি বাতে জানালেন, ১৫ আগস্টে কোভ্যাকসিন আসছে না। বেঁধে দেওয়া সময়ে প্রতিষেধক আসা অসম্ভব। তাইতো তিনি বলেছেন, স্বাধীনতা দিবস কাটবে সংক্রমণের মধ্যেই। তবে ওই দিনই দেশের যুবসমাজকে করোনা তাড়ানোর বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এর আগে আইসিএমআর এক বিবৃতিতে বলেছিল, ১৫ আগস্টেই ভ্যাকসিন পেতে চলেছে দেশের মানুষ। এই খবরে দেশবাসীর ধারণা হয়েছিল স্বাধীনতা দিবসেই মারণ রোগ থেকে মুক্তির পথ মিলবে। তবে সে আশা আপাতত না করাই ভাল।
যতক্ষণ না ভ্যাকসিন আসছে, ততক্ষণ টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এটাই এখন লক্ষ্যমাত্রা। এদিকে করোনা-পরীক্ষার নিরিখে জাতীয় গড়ের চেয়ে পিছিয়ে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য। কলকাতা ও নয়ডায় তাই অত্যাধুনিক যন্ত্র এবং পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা হচ্ছে। মুম্বইয়েও একই পরিকাঠামো রাখা হচ্ছে। আজ ২৭ জুলাই এই তিনটি শহরে হাই থ্রুপুট পরীক্ষাগার খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বিদেশ থেকে আনা অত্যাধুনিক রোবটিক যন্ত্রে দিনে ১০ হাজার করোনা পরীক্ষা সম্ভব। ওই যন্ত্রের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি ও সি, এইচআইভি, যক্ষ্মা, ডেঙ্গির পরীক্ষাও করা যাবে। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এগুলির উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা ব্যানার্জি, উদ্ধব ঠাকরে, যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন প্রমুখ। আরও পড়ুন-Mukul Roy: দল ছাড়ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়? জল্পনার অবসান করলেন নিজেই
At 4:30 PM on Monday, 27th July, high-throughput COVID-19 testing facilities will be launched.
These high-throughput testing facilities being set up in Noida, Mumbai and Kolkata will help in further ramping up our testing capacity. https://t.co/nvxM0MToua
— Narendra Modi (@narendramodi) July 26, 2020
বর্তমানে দেশে রোজ প্রায় ৫০ হাজার নতুন রোগীর সংখ্যাটা স্বাস্থ্যকর্তাদের উদ্বেগে রাখলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারতে সংক্রমিতদের সুস্থ হওয়ার হার অন্য দেশের তুলনায় ভাল। আমরা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছি ঠিকই, কিন্তু সংক্রমণ-কাল এখনও কাটেনি। গোড়ার দিকে করোনা যতটা ভয়ঙ্কর ছিল এখনও ততটাই। যাঁরা মাস্ক খোলার কথা ভাবছেন, তাঁরা এক বার চিকিৎসক ও অন্য কোভিড যোদ্ধাদের কথা ভাবুন, যাঁরা ২৪ ঘণ্টা মাস্ক পরে লড়াই করে যাচ্ছেন।’’