কলকাতা, ২৬ জুলাই: বিজেপি ছাড়ছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)? এমনই জল্পনা শোনা যায় কিছুদিন ধরে। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমি রাজনীতি করছি। একদিনের জন্যও রাজনীতির আঙিনা থেকে সরে যাইনি। বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে, আমি ক্লান্ত। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মুকুল রায়।"
সব জল্পনা উড়িয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়ে দিলেন, ‘বিজেপিতে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।’ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত না থেকে সোজা কলকাতায় চলে আসায়, জল্পনা তৈরি হয়েছিল মুকুলের সঙ্গে কি দূরত্ব বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের। কেউ কেউ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছেন, মুকুল কি দলই ছাড়ছেন! এ প্রসঙ্গে এ দিন বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্য মুকুল রায় জানান, তাঁকে নিয়ে যে সব খবর রটছে, তা অপপ্রচার। তদন্ত হওয়া উচিত। আরও পড়ুন, সুশান্তের মৃত্যু মামলায় মহেশ ভাট ও করণ জোহরের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুম্বই পুলিশ
মুকুল রায়ের সাফ কথা, দলের মধ্যে তাঁকে নিয়ে কোনও সংঘাত নেই। বিজেপিতে সম্মান পেয়েছেন তিনি। খোদ অমিত শাহ কলকাতায় এসে তাঁকে জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি বলে গিয়েছেন। একশো শতাংশ সন্তুষ্ট বিজেপিতে যোগ দিয়ে। কলকাতা ফিরে আসা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাতে মুকুলের যুক্তি ছিল চিকিত্সার জন্য তিনি এসেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “করোনা পরিস্থিতির সতর্কতা এবং শারীরিক অবস্থার কারণে দূরত্ব অবলম্বন করছেন মুকুল দা।”
কিন্তু জল্পনা আরও জোরালো হয়, যখন মুকুলের দিল্লির বাড়ির সামনে থেকে মোদী-শাহ ছবি-সহ হোর্ডিং সরে যায়। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোচনা নিয়ে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং অরবিন্দ মেননের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়। তবে, এ দিন মুকুল রায় স্পষ্ট করে দেন, দলের কারোর সঙ্গে তাঁর সংঘাত বা মতবিরোধ নেই।