কলকাতা, ২৯ অক্টোবর: ফের দুঃসংবাদ। দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সুকুমার হাঁসদা। গত ১০ অক্টোবর বাইপাস লাগোয়া এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ জঙ্গলমহলের চিকিৎসক নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। সুকুমার হাঁসদার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়াত প্রাক্তন মন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ২০১১ সালে ঝাড়গ্রাম থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত হন ডক্টর সুকুমার হাঁসদা (Sukumar Hansda)। প্রথম তৃণমূল সরকারে তিনি পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পান।
এদিকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি জিতে আসার পরও তাঁকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব আর দেওয়া হয়নি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং পরের বছর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবির পর জঙ্গলমহলে শাসক দলের রাজনীতিতে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েন সুকুমার হাঁসদা। খারাপ ফলের জন্য দলের অন্দরে তাঁকেই দায়ী করা হতে থাকে। ঠিক সেই সময়ই বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হায়দার আজিজ সফি মারা যান। তাঁর জায়গায় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার হন সুকিমার হাঁসদা। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: বৃহস্পতিবার ভারতে করোনা আক্রান্তের গণ্ডী ছাড়ালো ৮০ লাখ, মৃত ১,২০,৫২৭
ডক্টর সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার উপাধ্যক্ষ ডঃ সুকুমার হাঁসদার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ডঃ হাঁসদা তাঁর সারা জীবন আদিবাসীদের উন্নয়নব্রতে উৎসর্গ করেছিলেন। আদিবাসী আন্দোলনে ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণসাধনে তাঁর ভূমিকা ও অবদান ছিল বিরাট। আদিবাসী সমাজের অভ্যন্তরে থেকে তিনি তাঁদের বিকাশে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। তিনি ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে দু'বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বও তিনি পালন করেছেন। আমি সুকুমার হাঁসদার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।'