Representational Image (Photo credits: PTI)

বারাসাত, ২৫ মে: আম্ফানের প্রভাবে গাছ পড়ে, খুঁটি উপড়ে ছিঁড়ে গিয়েছে তার। তা মেরামত করতে দিন রাত এক করে দিচ্ছে বিদ্যুৎকর্মীরা। এরই মধ্যে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। ছেঁড়া তার সারাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ইলেক্ট্রিশিয়ানের। বারাসাতের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর ১ নম্বর পল্লীর বাসিন্দা অমল দাস, বয়স ৩৫। বারাসাতের নন্দনকানন এলাকাতে একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ ফিরিয়ে আনার কাজ করছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময়েই বিদ্যুৎ সংযোগ জোড়া চেষ্টা করছিলেন তখনই বিদ্যুতের ঝটকা লেগে তাঁর দেহ মাটিতে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা। ১০০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও আসছে না বিদ্যুৎ। এর মধ্যে CESC-র পর রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগমের (WBSEDCL) অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা (Electricity Supply) স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানায় রাজ্য সরকার। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর (Department of Home) জানায়, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ এলাকাতেই ফিরেছে বিদ্যুৎ। অধিকাংশ পানীয় জল সরবরাহের প্ল্যান্টে বিদ্যুৎ ফিরেছে। অধিকাংশ হাসপাতালেও বিদ্যুৎ ফিরেছে, জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। অধিকাংশ সেচ দফতরের পাম্পিং স্টেশন চালু হয়েছে বলে টুইট করে জানায় স্বরাষ্ট্র দফতর। আরও পড়ুন, কোথায় কোথায় স্বাভাবিক হল বিদ্যুৎ পরিষেবা? জেনে নিন

রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে জানানো হয়েছে, গড়িয়া, বাঁশদ্রোণী, কেষ্টপুর, বাগুইআটি,বারাসত, গড়িয়া, সল্টলেক, নিউটাউন, তমলুক, এগরা, কাঁথি, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, গয়েশপুর, কল্যাণী এবংরানাঘাটে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। আজও কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ এসে গেছে। লকডাউনের জেরে কর্মী সংখ্যা কম, তাই বিদ্যুৎ ফেরাতে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় রাজ্য সরকার।