পুজোর বাকি আর কয়েকটা দিন। এরপরেই কৈলাশ থেকে ছেলেপুলেদের নিয়ে বাপির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন 'মা'। শরতের মেঘলা আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে সে কথা। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। কলকাতার পুজো মানেই থিমের দৌড়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে। লেটেস্টলি বাংলার পেজে দেখতে থাকুন কলকাতার সেরা পুজোগুলোর খুঁটিনাটি ঃ-
যোধপুর পার্ক দুর্গা পূজা কমিটি
উত্তর কলকাতার প্রধান আকর্ষণ যদি হয় বনেদিয়ানা আর ঐতিহ্য,তাহলে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ পুজোর ভরসা দুর্দান্ত সব থিম। কেবলমাত্র সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ই নয়, দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু পুজোর থিম তার থেকে আরও বেশি কিছু। বিষয় ভাবনার বৈচিত্র্য, দুর্দান্ত উপস্থাপনা এবং সৃজনশীলতায় অন্য বছরগুলির মতো এবারও দর্শকদের মন কাড়তে তৈরি যোধপুর পার্ক। এবারে তাদের থিম পুনর্জন্ম। সৃজনে আছেন শিল্পী বাপাই সেন।
মানুষ মরবে। কোন মানুষই অমর নয়। তাই চাইলেই আমরা আমাদের শরীরের অঙ্গ দান করে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারি। শরীরের যে অঙ্গগুলি আমাদের মৃত্যুর পরেও পৃথিবী দেখতে সাহায্য করতে পারে তা হল আমাদের চোখ। চক্ষুদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি অন্য ব্যক্তিকে বিশ্ব দেখতে সাহায্য করে। এই ভাবনা থেকেই চোখের আদলে সেজে উঠছে গোটা মন্ডপ। থিম ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সনাতন পাল তৈরি করছেন মাতৃ মূর্তি।
কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে যোধপুর পার্ক দুর্গা পূজা কমিটি এবারের পূজার থিম প্রকাশ করেছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী বাপাই সেন, মৌসুমী দাস, ডাঃ অভিজিৎ সেন, সুমন্ত রায় এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।এইবার এমন অভিনব ধারণা দর্শকদের ভালো লাগতে বাধ্য। যোধপুর পার্ক দুর্গা পূজা কমিটি অবশ্যই সমাজের জন্য কিছু করছে।