West Bengal: এবার কোভিডের গ্রাসে প্রয়াত করোনা যোদ্ধা দেবদত্তা রায়ের স্বামী শাশুড়ি ও শিশুপুত্র
করোনাভাইরাস (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৫ জুলাই:  কয়েক দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন হুগলির চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায় (Debdatta Roy)। সোমবার রাজ্য সরকারের এই নবীন আমলার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের সোয়াব টেস্ট। আজ রিপোর্ট এলে জানা গেল, দেবদত্তা রায়ের স্বামী প্রবিত্রবাবু, তাঁর মা ও চার বছরের ছেলের শরীরেও বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ করোনাভাইরাস। পরিবারটি দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার বাসিন্দা। এখন সংক্রামিত তিনজনকে শহরতলির হাসপাতালে ভর্তি চেষ্টা চলছে। করোনা পর্যায়ের প্রথম থেকেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে গিয়েছেন দেবদত্তা রায়। লকডাউন পর্বে ডানকুনিতে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ঘরে ফেরার সময় ডানকুনি স্টেশনে গিয়ে কাজ করেছেন।

সেখানে  শ্রমিকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা, কোয়ারান্টিনে থাকা মনিটরিং করেছেন, সেই দক্ষ অফিসার দেবদত্তার অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ইতিমধ্যেই চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। স্বামী পবিত্রবাবুকে চিঠি দিয়ে শোক বার্তা জানিয়েছেন মমতা। পবিত্রবাবু নিজেও করোনায় আক্রান্ত, এদিন তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩০ জুন থেকে স্বামী স্ত্রীর শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। পুরকর্মীরা তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছিলেন। তবে দেবদত্তা রায় আশ্বাস দিয়ে যান, চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই কয়েক দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এখন ছেলের কাছেই থাকতে চান। তবে রবিবার দুপুর থেকে শরীর আর কথা শোনেনি, তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়। তবে তখন কোনও কোভিড হাসপাতালেই আর বেড পাননি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পরিবার। ৩৮-এই তাই নিভে গেল চন্দননগরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পথচলা। আরও পড়ুন-Global COVID-19 Cases: ১ কোটি ৩২ লক্ষ ছাড়ালো বিশ্বের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু মিছিলে শামিল ৫,৭৭,৮৪৩ জন

এদিকে সহকর্মীর অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না রাজ্যের বিসিএস পদাধিকারীরা। কেন যে আগেভাগে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেন না, তানিয়েই এখন চলছে আফশোস। ৩০ জুন বাড়ি ফেরার পর থেকেই দেবদত্তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। তবে তখনও তাঁরা ডাক্তার দেখাননি। এরপরে জ্বর বাড়তে থাকে গায়ে ব্যথা যখন দুজনেই নাকে গন্ধ পাচ্ছিলেন না তখন যান চিকিৎসকের কাছে। কোভিড টেস্টও হয়। দুজনেরই সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। নিজে তো চিকিৎসার সুযোগ পেলেন না। এখন স্বামী শাশুড়ি ও ছেলের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা চলছে।