মমতা ব্যানার্জি (Photo Credit: Facebook)

কালিয়াগঞ্জ, ৪ মার্চ: তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের কাস্ট সংক্রান্ত শংসাপত্র দিতে হবে এক মাসের মধ্যেই। সামনের বছর বিধানসভা নির্বাচন, গত লোকসভা নির্বাচনের ভরাডুবি রুখতে তাই মাঠে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি একথা বলেন। যদি আগের প্রজন্মের একজনেরও কাস্ট সার্টিফিকেট থাকে। তবে পরের প্রজন্মের কোনও পড়ুয়া নিজের কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করলে যেন এক মাসের মধ্যে সংশাপত্র পেয়ে যায়। এক্ষেত্রে সেই পরিবারের প্রবীণ সদস্যের শংসাপত্রটি প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগতে পারে। গোটা প্রক্রিয়া একমাসের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া উচিত। আধিকারিকারা আবেদনকারীকে বুঝিয়ে দেবেন কোন তথ্যাদি জমা করলে তাড়াতাড়ি সংশাপত্র মিলবে।

তিনি আরও বলেন, কোনও তফসিলি পরিবারের দ্বিতীয় প্রজন্ম যদি কাস্ট সার্টিফিকেটের আবেদন করে তবে সেই পরিবারের জন্য কোনও অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। এই সংশাপত্র যাতে আবেদনকারীরা তাড়াতাড়ি হাতে পান সেজন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অ্যাপ তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন স্নেহালয়, জয় জোহার পেনশন, তফসিলি বন্ধু পেনশন নামের তিনটি প্রকল্পও চালু করেন। স্নেহালয় প্রকল্পের অধীনে কোন আবেদন জমা পড়লে আবেদনকারীকে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অনুদান দেবে সরকার। ২৫ হাজার মানুষ আবেদন করেছিলেন। আজ থেকেই সেই টাকা দেওয়া শুরু হল।' অনেকেই ফোন করে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: কালিয়াগঞ্জের সভায় 'দিলদরিয়া' মমতা ব্যানার্জী, SC/ST এবং গৃহহীণদের জন্য সুখবর

এ দিন থেকেই তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের প্রবীণদের জন্য পেনশন প্রকল্পও শুরু করেন মমতা। তিনি জানান, 'জয় বাংলা প্রকল্পের অধীনে তফসিলি ভাই-বোনদের বয়স ৬০ হলেই মাসের এক তারিখে হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। জয় জহর প্রকল্পে আদিবাসী ভাই-বোনেদের ৬০ বছর বয়স হলে হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। যাঁরা এতদিন ৬৫০-৭০০ টাকা করে পেনশন পেতেন, তাঁরাও হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন। এই পেনশন পেতে কাউকে লবি করতে হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি। উত্তর দিনাজপুরে ৮টি কর্মতীর্থ ও ১০০ শয্যার হাসপাতাল হবে। তিনি বলেন, “রাজবংশী ভাইবোনেরা ও তফসিলি যারা আছেন, আপনারাও পেনশন পাবেন ৬০ বছরে। যদি অন্য কোথাও না পান। আপনাদের জন্য আমি রাজবংশী আকাদেমি করে দিয়েছি, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছি। আমি আপনাদের ভাষায় বই তৈরি  করছি। রাজবংশী ভাষাকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি।”