
দিল্লি, ৪ মার্চ: বিয়ের কথা লুকিয়েছেন বান্ধবী। প্রেমিকার গোপণ বিয়ের কথা জানতে পেরে রাগে, ক্ষোভে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন এক ব্যক্তি। মেঙ্গালুরু (Mangaluru) থেকে এমনই একটি খবর প্রকাশ্যে এল, যা শুনে ফের জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রিপোর্টে প্রকাশ, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা এক ব্যক্তি থাকতেন চেন্নাইতে। নাম অভিষেক সিং। চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত অভিষেক সিং এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। বছর ৪০-এর অভিষেক সিংয়ের সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক বেশ ভালই চলছিল। হঠাৎ করেই সব বিগড়ে যায় একটি খবরের জেরে। অভিষেক জানতে পারেন, তাঁর প্রেমিকা বিবাহিত। শুধু তাই নয়, অভিষেক সিংয়ের প্রেমিকার এক সন্তানও রয়েছে বলে ওই তরুণ খবর পান। যার জেরে তিনি নিজের জীবন শেষ করে ফেলেন বলে খবর।
মৃত্যুর আগে অভিষেক একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। যেখানে তিনি বলেন, তাঁর প্রেমিকা বিবাহিত এং এক সন্তানের মা। যা তিনি কখনও জানতে পারেননি। এব জানার পর তাঁর জীবন জটিলতায় ভরে ওঠে। ফলে তাঁর জীবনে জটিলতা বাড়ানোর জন্য প্রেমিকাই দায়ি বলে মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিয়োতে দাবি করেন অভিষেক।
এসবের পাশাপাশি অভিষেকের আরও অভিযোগ, তাঁর প্রেমিকার জীবন সম্পর্কে সবকিছু জানতেই উলটে হুমকি দিতে শুরু করেন। টাকা চাওয়াও শুরু হয়। অভিষেক টাকা না দিলে, তাঁর অফিসে সবকিছু জানিয়ে দেবেন বলে ওই তরুণী একের পর এক হুমকি দেন বলে দাবি করেন অভিষেক।
শেষ ভিডিয়োতে অভিষেক আরও বলেন, 'আমার জীবন জটিলতায় ভরে উঠেছে। ওঁদের ফাঁদে আমি পড়েছি। তাই এই জীবন রেখে লাভ কী' বলেও নিজের ভিডিয়োতে বয়ান রেকর্ড করেন অভিষেক।
মৃত্যুর পর অভিষেক সিংয়ের ভাই পুলিশের দ্বারস্থ হন। ওই তরুণীর জন্যই তাঁর দাদার জীবন শেষ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেকের ভাই। মৃতের ভাইয়ের কথায়, ১ মার্চ অভিষেকের প্রেমিকা মণিকা সিহাগ তাঁকে বিয়েতে অস্বীকার করেন। ওই সময়ই মণিকা জানান, তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। আর তখনই ভেঙে পড়েন অভিষেক। ১ মার্চ দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ১০.৩০ এর মধ্যে অভিষেক আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুর সময় ভিডিয়ো ক্লিপিংসে মণিকার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করে যান।
এসবের পাশাপাশি অভিষেকের কাছ থেকে ওই তরুণী সম্পর্কে থাকাকালীন ১০-১৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে দাবি মৃতের ভাইয়ের। টাকা নিলেও বিয়ের প্রসঙ্গে উঠতেই ততক্ষণাৎ তা খারিজ করে দেন মণিকা। প্রসঙ্গত মেঙ্গালুরুতে থাকলেও মনিকা আদতে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের বাসিন্দা।