বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন এক সংখ্যালঘু মহিলা। আর সেই কারণেই তাঁকে বিবস্ত্র করে পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে গ্রাম ঘুরিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গত বুধবার কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের রুইডাঙা এলাকার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল সমালোচনা শুরু হয় রাজ্য় রাজনীতিতে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। শনিবার সকালেই কোচবিহারে যাওয়ার জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul) সহ বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রীরা। সূত্রের খবর, কোচবিহারে পৌঁছে নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করবেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন বিমানবন্দরে নেমে অগ্নিমিত্রা বলেন, "বাংলার এক সংখ্যালঘু মহিলা, যিনি বিজেপি করেন বলে তাঁকে নগ্ন করে মারধর করে গ্রামে ঘোরায় তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। এখনও পর্যন্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে  পুলিশ। আমরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে এসেছি। এই রাজ্যে প্রতিদিনই কোনও না কোনও মহিলাকে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও এই ঘটনার পর সে নীরব রয়েছে। এদিকে মণিপুরের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। কোনও ঘটনাকেই আমরা সমর্থন করি না। তবে তৃণমূল, কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা রাজনৈতিক স্বার্থে মন্তব্য করেন। আমরা কোচবিহারের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। আজ নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে আমরা কথা বলবো। তারপর আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসবো"।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ওই সংখ্যালঘু মহিলা। তখন তাঁর ওপর চড়াও হয় স্থানীয় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ভোটের ফলপ্রকাশের পর এরাই বাড়ি এসে ভয় দেখিয়েছিল। এদিন বিজেপি কর্মীকে প্রথমে প্রচন্ড মারধর করা হয়। তারপর ১ কিলোমিটার দূরে রামঢেঙা বাজারে নিয়ে গিয়ে জামাকাপড় খুলে সেগুলি জলে ফেলা হয়। তারপর ফের মারধর করা হয়। এতে সংজ্ঞা হারালে অভিযুক্তরা ভয়ে পালায়। খবর জানামাত্রই ঘটনাস্থলে তাঁর বাবা এবং প্রতিবেশীরা গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।