কলকাতা, ২৬ জুলাই: শুক্রবার থেকেই সারদাকাণ্ডের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের হেভিওয়েটদের ডাকতে চলেছে সিবিআই। সারদাকাণ্ডের (Saradha Scam) জাল ক্রমশ গুটিয়ে নিয়ে এসেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর একে তৃণমূল নেতৃত্বকে জিজ্ঞাসাবাদের পাল।সারদার টাকা ঠিক কোথায় গেল তা জানতেই এই জেরার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সিকে (Subrata Bakshi) জেরা করেছেন সিবিআই কর্তারা। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, সুব্রতবাবু তদন্তকারীদের সঙ্গে সহায়তা করেছেন। এবার একে একে তমোনাশ ঘোষ ও ডেরেক ওব্রায়েনকে ডাকবে সিবিআই। আরও পড়ুন-সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজীব কুমারকে ফের জেরা সিবিআইয়ে-র, কী তথ্য উঠে এল?
আগের বার সংসদে অধিবেশন চলার কারণে ডেরেক সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এবারও সেই একই পরিস্থিতি, এই মুহূর্তে সংসদে বর্ষাকালীন অধিবেশন চলছে, নিয়ম মেনে দিল্লিতেই রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তাই তিনি যে সিবিআই-এর তলব মাফিক সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে পারবেন না, তা তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সম্ভবত জানানো হবে। সারদার লেনদেনের বিষয়ে জেরা করতে গেলে মুকুল রায়কে (Mukul Roy) তো ডাকতেই হবে। কেননা তিনি তখন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। পরে বিজেপিতে চলে যান মুকুল। তবে সারদা কাণ্ডের তদন্তে তাঁর জবানবন্দি যে বড় মাপের ভূমিকা রাখবে এবিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। পুজোর আগেই সারদাকাণ্ডের তদন্তে শেষ করেত চাইছে সিবিআই। তাই ফের যে খুব শিগগির মুকুল রায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। খবর পেয়েই মুকুল রায় জানিয়েছেন, আগেও সারদা মামালায় তদন্তকারীদের সহযোগিতা করেছেন তিনি এবারও করবেন। এদিকে তমোনাশ ঘোষের বক্তব্য, তিনি নাকি কোনওরকম সিবিআই নোটিস এখনও পাননি।
উল্লেখ্য, সারদা কাণ্ডের টাকা কোন কোন রাজনৈতিক নেতার হাত ঘুরেছে তা জানতেই এই জেরা। একই সঙ্গে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থাগুলিতে আমানতকারীরা যাতে টাকা জমা দেন সেজ্ন্য কোন কোন রাজনৈতিক নেতা তাঁদের বাধ্য করেছেন তাও এই জিজ্ঞাসাবাদেই স্পষ্ট হবে। শোনা যাচ্ছে সারদা মামলার তদন্ত একেবারে শেষের পথে। দিওয়ালির আগেই হয়তো তদন্তের চার্জশিট জমা করবে সিবিআই।