বীরভূম, ২৮ ফেব্রুয়ারি: সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Viswa Bharati University) এক এনআরআই ছাত্রী (NRI Student)। তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্থার হতে হয় বাংলাদেশের কুস্টিয়া থেকে বিশ্বভারতীর কলা ভবনে পড়তে আসা আফসারা অনিকা মিমকে (Afsara Anika Meem)। জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি ২৪ ঘণ্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল। সেই ডাকে বিশ্বভারতীর বাম সমর্থিত ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরের সামনে আন্দোলন চালিয়েছিল।
আন্দোলনে বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের ডিজাইন ডিপার্টমেন্টের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আপসারা মিমও যোগ দেয়। আপসারা মিম বাংলাদেশ থেকে বিশ্বভারতীতে এসেছেন পড়াশোনা করতে। একজন বিদেশি হয়ে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ১৫ দিনের মধ্যে আপসারা মিম নামে ওই বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারত ছেড়ে চলে যেতে হবে। এই ঘটনায় বিশ্বভারতীর ছাত্ররা তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। আরও পড়ুন, দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের দাবি, ‘‘কোনও দলের সদস্য হয়ে তাদের কর্মসূচিতে যোগ না-দেওয়া পর্যন্ত ভিসার শর্তভঙ্গ হয় না। আরএসএসের চাপে বিদেশ মন্ত্রক মিথ্যা অভিযোগ এনে ওই ছাত্রীকে শাস্তি দিয়েছে। এতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও খারাপ হবে।’’ কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান নির্দেশ ফেরানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘‘ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিদেশি পড়ুয়াদেরও আছে।’’তবে চিঠিতে পরিষ্কারভাবে বলে দেওয়া হয়েছে একজন বিদেশি হয়ে ভিসার যে আইন রয়েছে আইন মানেননি এবং তাঁকে দেশের মধ্যে দেখা গিয়েছে একজন বিদেশি হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে। সেই কারণেই ওই ছাত্রীকে ভারত ছাড়ার নোটিস পাঠানো হয়েছে।