কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ফের রাজ্যে আসছেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে কলকাতায় পৌঁছাবেন তিনি। সকালেই চলে যাবেন মায়াপুরের ইসকনে। শনিবার বিকেলে বনগার ঠাকুরনগরে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। বিজেপি বাঙালি বিরোধী, এই তকমা ঘোঁচাতে অমিত শাহর আস্তিন থেকে কী সমাধান বেরোয় তা দেখতেই মুখে আছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এমনিতেই নাগরিকত্বরে কাঁটায় নাভিশ্বাস উঠেছে। মতুয়াদের থামিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও পরিস্থিতি নিয়্ন্ত্রণে আনতে কয়েক মাস আগেই বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে আলোচনায় বসেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। তখনকার মতো তাঁকে শান্ত করা গেলেও ভোটের আগে ফের মতুয়ারা সচেতন হয়েছে। শান্তনু ঠাকুর যদিও অমিত শাহর সফরের দিকে তাকিয়ে আছেন। আরও পড়ুন-Kieron Pollard Death Hoax: আবুধাবিতে টি-টেন লীগ খেলছেন কায়রন পোলার্ড, ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর খবরে ভরল ইউটিউব
এদিকে এসব শুনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, বিজেপি লোকসভা ভোটের আগে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ভোট মেটার পরেও সেদিকে কিছুই এগোয়নি। অসমে এনআরসি নিয়ে অ্যাসিড টেস্ট করতে গিয়ে নিজেদের কৃতকর্মে নিজেরাই বিপাকে পড়েছে। অমিত শাহ আবার এসে কোনও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাবেন। আমরা তো কবেই বলেছি মতুয়ারা এদেশের নাগরিক। এদিকে বিজেপির গায়ে সেঁটে যাওয়া বাঙালি বিরোধী তকমা তুলতে যারপরনাই চেষ্টা করচেন বঙ্গ বিজেপির নেতৃত্ব, তবে এনিয়ে হালে তেমন পানি পাচ্ছেন না। একে তো জেপি নাড্ডার সেই বেফাঁস মন্তব্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে জন্মেছেন। বা নেতাজি জয়ন্তীতে জয় শ্রীরাম স্লোগান। বিজেপির পাকা ধানে একেবারে মই দিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলও সুযোগ ছাড়তে নারাজ। গেরুয়া শিবির যে বাঙালি বিরোধী তানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে জোরদার প্রচার।
এবার তাই নিজের কর্মসূচিতে বিদ্যাসাগরের বাড়িও রেখেছেন অমিত শাহ। যদি একান্তই সময় না পান তাহলে অন্তত ঋষি অরবিন্দের বাড়িতে যাবেন তিনি। এই শুনে সৌগত রায় বলেছেন, সেখানে যাওয়ার আগে অমিত শাহর একটু পড়াশোনা করে নেওয়া উচিত। এদিকে শুক্রবার সকালে প্রতাঃভ্রমণে বেরিয়ে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মিথ্যে প্রতিশ্রতি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শুরু থেকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কোনওটাই পালন করেননি। লোক হতাশ হয়ে গিয়েছে। সে জন্যই মনে করাতে হয়, উনি কী কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, তাই রাস্তায় আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ মানুষ। আমরা ক্ষমতায় এলে সবার জন্য সুবিচারের চেস্টা করব। ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসে আমাদের সরকার সপ্তম পে কমিশন চালু করেছে। এখানেও সরকার ঘোষণা করল। অথচ চালু হচ্ছে না। সমস্যাটা কোথায়? উনি যদি কেন্দ্রের সব প্রকল্প আর কাজের বিরোধিতা করবেন তাহলে কাজ কী করে হবে? রাজনীতি করতে গিয়ে সবাইকে ডুবিয়েছেন, এবার নিজে ডুববেন।”