কলকাতা, ১২ অক্টোবর: ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ (Low Pressure) অক্ষরেখার প্রভাব ধীরে ধীরে কমছে বলেই খবর আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। শুক্রবার থেকে আবহাওয়া উন্নত হবে বলেই জানিয়ে ছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই মত আজ শনিবার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিন আকাশ সাধারণত মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিরও সম্ভবনা থাকছে। পুজো ভাসিয়ে দেবে বৃষ্টি, এমন আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু পুজোর দিনগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আভাস ছিল। বার্তা ছিল শেষ প্রহরে তীব্রতা বাড়ারও। সেই পূর্বাভাসই অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে পুজর কটাদিন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য বলছে, গোটা রাজ্য ধরলে পুজোর একদিনও শুকনো যায়নি। কোথাও না কোথাও বৃষ্টি ঠিকই হয়েছে। আবার একেবারে শেষবেলায় দশমীতে (Dashami) ঝেঁপে বৃষ্টি হয় দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া জেলায়। সে দিন কলকাতা বেঁচে গেলেও, ছাড় পায়নি একাদশীতে। বিসর্জনের মুখে সাময়িক ভাবে জল দাঁড়িয়ে যায় বহু রাস্তায়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ বার আস্তে আস্তে বৃষ্টির তীব্রতা এবং বিস্তার দুইই কমে আসবে। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১.৬°(+১) সেলসিয়াস। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬.৯° (+১)সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকছে ৯৪ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ। বৃষ্টিপাত থাকবে ৩.৫ মিলিমিটার। আরও পড়ুন: Kokata Weather: পুজো কাটলেও বাংলায় লম্বা ইনিংস খেলবে বর্ষা, শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
চলতি বছর পুজোর প্রস্তুতি থেকেই ভুগিয়েছে বৃষ্টি (Rain)। নিম্নচাপ অক্ষরেখায় স্থানীয় বৃষ্টি আর বিহার-ঝাড়খণ্ডের জলে প্লাবনের মুখে পড়েছিল মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলির কিছুটা এলাকা। পুজোর মধ্যেও ছাড় দেয়নি বৃষ্টি। তবে একইসঙ্গে সর্বত্র বৃষ্টি হয়নি। তীব্রতাও ছিল ভিন্ন। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির চরিত্র অবশ্য এমনই। আবহবিদরা আগেই বলেছিলেন, এই ধরনের বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত মূলত সন্ধের মধ্যেই হয়ে যাওয়ার কথা। বাস্তবেও হয়েছে তাই। সকাল-দুপুরে প্রতিমা-দর্শনে বেরোনো পুজোপ্রেমীদের সাময়িক ভাবে বিপাকে ফেললেও, রাতে মোটে বাগড়া দেয়নি বৃষ্টি। ফলে পুজোর আনন্দে মোটেই ভাটা পড়েনি।