Photo Credits: ANI

ডিপ ফেক ভিডিয়ো নিয়ে এখন গোটা দেশে বিতর্কের ঝড়। ক দিন আগেই দক্ষিণ ভারত তথা বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকার রশ্মিকা মন্দনার একটি ডিপফেক ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছিলেন সবাই। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। রশ্মিকার পর কাজল থেকে ক্য়াটরিনা কাইফ, কারিনা কাপুর-একের পর এক নায়িকার ডিপ ফেক ভিডিয়ো সামনে আসে। এবার ডিপফেক ভিডিয়ো নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এক জনসভায় মোদী বললেন,"আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স, ডিপফেক ভিডিয়োর মত বিষয়গুলি চ্যালেঞ্জ বাড়াচ্ছে। আমার দেশের বড় অংশের মানুষের কাছে এগুলো যাচাইয়ের জায়গা থাকছে না। অনেক মানুষই শেষ পর্যন্ত ডিপফেক ভিডিয়োকে সত্যি বলে ধরে নিচ্ছেন। তাই এটা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে।"

এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, " আর্টিফিয়িসাল ইন্টিলেজেন্স, ডিপফেকের মত বিষয়গুলিকে নিয়ে আমাদের মানুষদের সচেতন করতে হবে। কীভাবে এগুলো কাজ করে, কীভাবে এগুলো ধরা যায়, কীভাবে এটা করা যায়, কী ধরনের চ্য়ালেঞ্জ এর ফলে আসতে পারে- তা বিশেষ প্রোগামের মধ্যে দিয়ে মানুষকে জানাতে হবে।"এই বিষয়ে মোদী দাবি করেন, তিনি তাঁর নিজেরও একটি ডিপফেক ভিডিয়ো দেখেছেন, যাতে দেখা গিয়েছেন তিনি গরবা নাচছেন। আরও পড়ুন-তেলাঙ্গানায় রাহুলের রোড শোয়ে রেকর্ড ভিড়, সোনিয়া তনয়ের গলায় বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি

দেখুন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

ডিপফেক ভিডিয়ো এমন এক আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলেজেন্স সফটওয়ার বা ব্যবস্থার মাধ্যমে তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে কোনও দক্ষ আর্টিস্ট একেবারে হুবহু যে কারও মুখ, শরীর, স্বর নকল করতে পারে। নিখুঁত ডিপি ফেক ভিডিয়োর মাধ্যমে কোনওভাবেই (অপেশাদারের ক্ষেত্রে) বোঝার উপায় থাকবে না সেটি নকল। ২০২০ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন এক ডিপ ফেক ভিডিয়ো সামনে এসেছিল, যা দেখে বোঝার উপায়ই ছিল না সবটাই নকল। অথচ অনেক ভোটারই ধরে নিয়েছিলেন সেটি ট্রাম্প বলছেন, যার প্রভাব ভোটে পড়েছিল। ২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডিপফেক ভিডিয়োর প্রভাব বড় ভাবে পড়তে শুরু করবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। ভারতেও যেভাবে ডিপফেক ভিডিয়ো ঢুকে পড়ছে,তাতে আগামী বছর আমাদের দেশে লোকসভা নির্বাচনেও সেটি থাবা বসাতে পারে বলে আশঙ্কা।