Photo Credits: ISRO

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস গড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, এবং চিন সহ ভারত বিশ্বের হাতে গোনা চারটি দেশের মধ্যে অন্যতম যারা চাঁদের মাটিতে সফলভাবে মহাকাশযান অবতরণ করেছে। আবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের দিক থেকে ভারত প্রথম দেশ। ভারতের চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডিং ইউটিউবে রেকর্ড ভেঙেছে। নিত্যদিনই ভারতের চন্দ্রযান-৩ ডেটা পাঠাচ্ছে আর তার থেকে উঠে আসছে নানা অজানা তথ্য।

এদিকে, ২০০৮ সালে ভারত প্রথমবার চন্দ্রযান (Chandrayaan 1) পাঠিয়েছিল। এই নিয়ে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, চাঁদের মাটিতে জলের যে সন্ধান মিলেছে, তার গঠনে পৃথিবীতে অবস্থিত উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন ইলেক্ট্রনের বড় ভূমিকা থাকতে পারে। মানোয়ার ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই-এর গবেষকদের নেতৃত্বে মার্কিন মুলুকে বিজ্ঞানীদের একটি দল ভারতের চন্দ্রযান-১ এর রিমোট সেন্সিং ডেটা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানতে পেরেছে।

নেচার অ্যাস্ট্রনমি জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে অবস্থিত প্লাজমা শিট আমাদের এই নীলগ্রহে আবহাওয়ার তৈরির অন্যতম কারণ। এই প্লাজমা শিটের হাই-এনার্জি ইলেক্ট্রন পাওয়া যায়। আর আবাহওয়া শিলা ও খনিজ পদার্থকে ভাঙতে এবং দ্রবীভূত করতে গূরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। বিজ্ঞানী ও গবেষক দলের ধারণা, চন্দ্রপৃষ্ঠেও এক ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। চাঁদে জলের যে সন্ধান মিলেছে, তাতে ওই ইলেক্ট্রনেরই অবদান রয়েছে।

দেখুন

২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ০৬:২২ মিনিটে  শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। ভারতের মহাকাশ গবসণায় এই মিশনটি  বড়ো পদক্ষেপ ছিল।