নয়া দিল্লি, ৬ অগাস্ট: জম্মু-কাশ্মীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে লাদাখ। গতকাল সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, জম্মু-কাশ্মীর (Jammu-Kashmir) দুটি পৃথক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল হচ্ছে। ১) জম্মু-কাশ্মীর-যেখানে বিধানসভা থাকবে, ২) লাদাখ (Ladakh)- যেখানে কোনও বিধানসভা থাকবে না। এরপরই বাইশ গজে সবার প্রশ্ন আসে তাহলে এবার লাদাখের ক্রিকেটাররা কাদের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলবেন? তাহলে কী লাদাখের জন্য আরও একটা ক্রিকেট সংস্থা তৈরি হচ্ছে? লাদাখ কি এবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলবে? এইসবের উত্তর মিলবে কিছু জিনিস জানা থাকলে।
দীর্ঘদিনের দাবি মিটিয়ে গত মাসের শেষের দিকেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের ক্রিকেট সংস্থাকে মান্যতা দেয় বিসিসিআই (BCCI)। ১৯৮২ সালে চণ্ডীগড় ক্রিকেট সংস্থা নথিভুক্ত হয়েছিল। তারপর বারবার বোর্ডের স্বীকৃতি পাওয়া, রঞ্জি ট্রফিতে নিজেদের দল নামানোর দাবি জানিয়ে যায় চণ্ডীগড়। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা রদের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন নরেন্দ্র মোদি?
শেষ অবধি ক দিন আগে সেই স্বীকৃতি মেলে চণ্ডীগড়ের। তার আগে চণ্ডীগড়ের ক্রিকেটাররা পঞ্জাব বা হরিয়ানার হয়ে রঞ্জিতে অংশ নিতেন। চণ্ডিগড়ই হল দেশের প্রথম ক্রিকেট সংস্থা, যেখানে বিধানসভা না থাকলেও বিসিসিআইয়ের মান্যতা পেয়ে আলাদা করে রঞ্জি ট্রফিতে খেলবে।
আরেক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরী-ও রঞ্জি ট্রফিতে খেলে। তবে দমন-দিউ, লাক্ষাদ্বীপ, দাদর-নাগর হাভেলি-র মত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যেখানে বিধানসভা নেই, সেখানে পৃথক ক্রিকেট সংস্থা নেই। দিল্লি ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও সেখানে বিধানসভা আছে। ঠিক যেমন পুদুচেরীতেও আছে। সেখানে তাই ক্রিকেট সংস্থার মান্যতা আছে। দিল্লি, পুদুচেরির মত বিধানসভা থাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেট সংস্থা থাকছে, এবং পারভেজ রসুলের রাজ্যের রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে কোনও বাধা নেই। তবে লাদাখ? লাদাখের ক্ষেত্রে বোর্ডের সিদ্ধান্ত তারা জম্মু-কাশ্মীরের হয়েই রঞ্জিতে খেলবে। সিওএ প্রধান বিনোদ রাই জানান, লাদাখের ক্রিকেটাররা রঞ্জিতে জম্মু-কাশ্মীরের হয়েই খেলবেন। লাদাখ ক্রিকেট সংস্থার ভোটাধিকার নিয়েও কিছু বলতে চাননি রাই।