মুম্বই, ১৮ মে: সাইক্লোন তকতের (Cyclone Tauktae) জেরে মহারাষ্ট্র (Maharastra) ও গুজরাটের (Gujrat) বিস্তীর্ণ অংশ বিধ্বস্ত। 'তকত'-এর 'তাকাতে' কেরালা, কর্ণাটক, গোয়াতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির বিচারে গুজরাট, মহারাষ্ট্রেই অনেকটা বেশি। তকত আছড়ে পড়তেই মুম্বইয়ের বিভিন্ন অঞ্চলের রাস্তায় গাছ পড়ে যায়। ঠিক যেমন গত বছর কলকাতায় আমফানের সময় হয়েছিল। আরব সাগরের তীরের শহর মুম্বইয়ে তকতের ঝাপট বেশ ভালভাবেই দেখল। সাইক্সোন তকতের প্রভাব থেকে বাদ গেল না ভারতীয় ক্রিকেটের গর্বের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামও। বছর দশেক আগে যে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন মহেন্দ্র ধোনিরা সেই স্টেডিয়ামের একাংশ তকতের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত মাসেও এই সময় ওয়াংখেড়েতে চুটিয়ে আইপিএলের ম্যাচ হয়েছে। আরও পড়ুন: Migrant Workers: দ্বিতীয় ঢেউয়ের লকডাউনে ফিরল সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার দৃশ্য

দক্ষিণ মুম্বইয়ে অবস্থিত ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সাইট স্ক্রিন তীব্র ঝড় পড়ে যায়। স্টেডিয়ামের ভিতর ঢুকে যায় জল। মুম্বইয়ের জিমখানাতেও মুষলধারকে বৃষ্টিতে জল জমে যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে জিমখানা স্টেডিয়ামে কোভিড সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে আইসিইউ বেড না থাকলেও জটিল অবস্থার জন্য পরিকাঠামো সহ ডাক্তাররা তৈরি আছেন। মুষলধারে বৃষ্টির পর ৮০টি শয্যার এই কোভিড সেন্টারের প্রথম তলায় জল জমে যায়। কিছু রোগীদের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়।

কেরল, মুম্বইয়ের পর এবার তকতে দাপট দেখাচ্ছে গুজরাট জুড়ে। ঘূর্ণিঝড় তকতের (Cyclone Tauktae) দাপটে গুজরাটে (Gujrat)এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সাংবাদিক সম্মেলনে মঙ্গলবার এমনই জানান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (Vijay Rupani)।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় তকতের জেরে গুজরাটের ১৪টি জেলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ওই ১৪টি জেলা জুড়েই জোরদার বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে গুজরাটের বিভিন্ন জায়গায় ৪০ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। ১৬,৫০০ কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বর্তমানে গুজরাটের সৌরাষ্ট্রের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তকতে। এই ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিমে সরতে শুরু করলে, তবেই এর শক্তি কমতে শুরু করবে বলেও আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।