প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI) (Representational Image Only)

নতুন দিল্লি, ১৮ মে:  রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন (Delhi Lockdwon) এখনই তোলার সম্ভাবনা নেই। ফলে কোম্পানি-কারখানা (Company) বন্ধ হচ্ছে। এদিকে, লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকায় ঘরবন্দি হয়ে পেট চালানোর জন্য অর্থের সংস্থান নেই। গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠানোর ক্ষমতাও আর নেই। তাই দিল্লি ছেড়ে যে যার ঘরে ফিরে যাচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers)। দিল্লির বিভিন্ন বাস ও রেলস্টেশনে দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিড়। একে একে সবাই বাড়ি ফিরছেন। আরও পড়ুন: Coronavirus Cases In India: করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৩, মৃত ৪ হাজারেরও বেশি

সপ্তাহ তিনেক আগে দিল্লিতে যখন লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সেদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে অনুরোধ করে বলেছিলেন, "এই লকডাউন সাময়িক। আপনার কোথাও যাবেন না।" কিন্তু এর মধ্যে দিল্লিতে সংক্রমণের হার বেড়েছে, বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু। ফলে দিল্লিতে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েছে, কঠোর হয়েছে লকডাউন। মেট্রো পরিষেবাও সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। আশা না দেখে তাই বাড়ি ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।

দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরার পথে রামজি নামের এক পরিযায়ী শ্রমিক বললেন, "আমি বিহারের আরহায় আমার বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। আর কত দিন খালি পেটে এখানে পড়ে তাকব! তাই ভাবলাম এখন বাড়ি ফিরে যাওয়াই সঠিক কাজ হবে। বাড়িতে আমার মায়ের অবস্থা বেশ খারাপ।"প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউয়ে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর পরিযায়ী শ্রমিকরা যে যার রাজ্যে ফেরার সময় যে কষ্ট আর যন্ত্রণার ছবি গোটা দেশ দেখেছিল তাতে সবাই শিউড়ে উঠেছিল।

রবিবার রাজধানী দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহ বাড়ে লকডাউনের সময়সীমা। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সে কথা ঘোষণা করেন। আগামী ২৪ মে সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে রাজধানীতে। দিল্লিতে সংক্রমণ নিম্নমুখি। দৈনিক সংক্রমণ কমছে, বাড়ছে সুস্থতার হার। তবে কমলেও ৫ শতাংশের নীচে নামেনি সংক্রমণ হার,তাই এমন সময় কোনও ঢিলেঢাল মনোভাব দিতে চায় না প্রশাসন। আর তাই রাজধানী দিল্লিতে লকডাউন থাকছে।