Gerd Muller: বিশ্বকাপ জয়ী জার্মান-বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তি গার্ড মুলার প্রয়াত
প্রয়াত গার্ড মুলার। (ছবি: টুইটার থেকে)

মিউনিখ, ১৫ অগাস্ট: বিশ্ব ফুটবলের আরও এক কিংবদন্তি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। রবিবার জার্মান ফুটবলের সবচেয়ে বড় নাম গার্ড মুলার (Gerd Muller) প্রয়াত হলেন। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করার নায়ক গার্ড মুলার ৭৫ বছর বয়েসে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করলেন। ফুটবল দুনিয়ার সর্বকালের সেরা গোলস্কোরার, পজেটিভ স্ট্রাইকার হিসেবে তাঁর নামটা একেবারে উপরের দিকে থাকবে।

বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ১৯৭২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিনশিপ (ইউরো কাপ), তিনবার ইউরোপিয়ান কাপ, ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপর্ণ সদস্যও তিনি ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি জিতেছিলেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় পুরস্কার 'ব্যালন ডি অর'। পাশাপাশি পেলের মাতানো ১৯৭০ বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করে জিতেছিলেন গোল্ডেন বুট। গোটা ফুটবল কেরিয়ারে গার্ড মুলার ৭৮০ ম্যাচে ৭১১ গোল রয়েছে তাঁর। খেলোয়াড় জীবনে ছ'গজ বক্সে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের জন্যে বিখ্যাত ছিলেন তিনি।

পশ্চিম জার্মানির জার্সিতে ৬২টি ম্যাচে ৬৮টি গোল করে তিনিই দীর্ঘদিন দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। ২০১৪ সালে মুলারের সেই রেকর্ড ভাঙেন মিরোস্লাভ ক্লোজে। মিউনিখে ১৯৭৪ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয়সূচক গোলটি মুলারই করেছিলেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটিও দীর্ঘদিন মুলারের কাছেই ছিল। ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপের মুলারের (১৪টি গোল) রেকর্ড ভাঙেন ব্রাজিলের রোনাল্ডো।

তবে মুলারের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে সেই রেকর্ড ভেঙেছিলেন ব্রাজিলিয়ান রোনাল্ডো। ১৯৭২ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ(আগের নাম ইউরো কাপ)-এ ফাইনালে দুটি গোল সহ মোট চারটি গোল করে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করান। জীবনের শেষের কতগুলো বছর অ্যালঝাইমার্স রোগে ভুগছিলেন। শেষের দিকে প্রায় কিছুই মনে রাখতে পারছিলেন না।

শুধু দেশের জার্সিতে নয়, বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও তাঁর অনেক রেকর্ড, অনেক সাফল্য। বায়ার্নের সর্বকালের সেরাদের তালিকায় একেবারে শুরুর দিকেই নাম থাকবে মুলারের। বুন্দেশ লিগা বায়ার্নের হয়ে ৩৬৫টি গোল করার রেকর্ড আছে তাঁর। একটা ক্যালেন্ডার বছরে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড দীর্ঘদিন মুলারের দখলে ছিল। ১৯৭২ সালে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মুলার করেছিলেন ৮৫টি গোল। ২০১২ সালে লিওনেল মেসি সেই রেকর্ড ভাঙেন।

পেলে, মারাদানোর মত তিনিও কলকাতায় এসেছিলেন। ২০০৫-এ জার্মানির ছোটদের দল নিয়ে আইএফএ শিল্ডে খেলতে এসেছিলেন মুলার। তারপর চার বছর বাদে জার্মানির অনূর্ধব-২৩ দলকে নিয়ে তিনি ফুটবলের শহর কলকাতায় আসেন।