মারাদোনা (Photo Credits: Twitter)

বুয়েনস আইরেসে ৬০ বছর আগে জন্ম। শৈশবের দারিদ্রের অভিশাপ কাটিয়ে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা (Diego Maradona)। তিনি চলে গেলেও থেকে যাবে সেই অনন্তকালের তর্ক- কে বড় ফুটবলার? পেলে না মারাদোনা? বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের ভোটাভুটিতে মারাদোনার কাছে হার মেনেছিলেন পেলেও। কিন্তু ফিফা দু’জনকেই সম্মানিত করে। অসামান্য, কিংবদন্তি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই ফুটবলারের এক জন, বিরলতম প্রতিভা, সদা বিতর্কিত। ফুটবল আকাশে এমন চরিত্রের উদয় খুব কমই দেখা গিয়েছে। সাড়ে ৫ ফুটের লোকটা, আর্জেন্তিনার এক শ্রমিক পরিবারের পঞ্চম সন্তান। বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাদী রাজপুত্র। মারাদোনা তো শুধু একজন বিশ্ববন্দিত ফুটবলার নন, তিনি এক উদ্দাম জীবন। যার বাঁকে বাঁকে বিতর্ক, তাকে টপকে কেবল ফুটবলেই যাপন।

  • আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসের বাইরে ৬০ বছর আগে এক শ্রমিক পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। চার মেয়ের পর প্রথম ছেলে মারাদোনা। মারাদোনার আরও দুই ভাই রয়েছেন। এঁরা হলেন হুগো এবং রায়ুল। পরবর্তী দুজনেই পেশাদার ফুটবলার হয়ে যান।
  • আর্জেন্টেনীয় জুনিয়র্স(১৯৭৬-১৯৮১), বোকা জুনিয়ার্স(১৯৮১-৮২)(১৯৯৫-৯৭), বার্সেলোনা (১৯৮২-৮৪), নাপোলি(১৯৮৪-৯১০), নিউ ওয়েলস ওল্ড বয়েজ(১৯৯৩-৯৪) মোট পাঁচটি ক্লাবে খেলেছেন তিনি।
  • ১৯৮৬-র বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটো গোল করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মারাদোনা। তাঁর প্রথম গোলই ফুটবল বিশ্বে মহাবিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ১৯৮৬ ফুটবল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন। বিতর্কিত সেই গোলের পরই 'হ্যান্ড অফ গড' নামে পরিচিত হন ফুটবলবিশ্বে।
  • ইটালির ক্লাব নাপোলিতে খেলতে গেলেন ফুটবলের রাজপুত্র। তখন নাপোলির এক স্থানীয় সংবাদপত্রে লেখা হয়েছিল, এখানে বাড়িঘর ঠিক নেই, নেই কোনও মেয়র, স্কুল, বাস, নিকাশি, চাকরি কিছুই নেই। এসব ম্যাটার করছে না কারণ আমাদের মারাদোনা আছে।
  • ১৯৯১ সালে নাপোলিতে খেলার সময় কোকেইন নেওয়ার অপরাধে ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নির্বাসিত হন দিয়েগো মারাদোনা
  • তাঁকে নিয়ে খবর করতে ব্যক্তিজীবনে নাক গলিয়েছিলেন এক সাংবাদিক। এই কারণে সেই সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি চালান মারাদোনা। এর সঙ্গে জুড়ে যায় কর ফাঁকির অপরাধ। ২ বছর ১০ মাসের জেল হেফাজত হয় ফুটবল রাজপুত্রের।
  • কোচ হিসেবে মারাদোনার ব্যর্থতার ঝুলি একেবারে পরিপূর্ণ। গত বছর আর্জেন্টিনার সুপার লিগের দল জিমন্যাসিয়ার কোচের পদে বসেন তিনি। এর আগে মেক্সিকোর ডোরাডোসের কোচ ছিলেন বিশ্ব কাপ জয়ী মারাদোনা। কিন্তু শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার মারাদোনা। তবে এরপর মেক্সিকোর সেকেন্ড ডিভিশন ক্লাব ও UAE-র দুটি ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।