ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া খেলোয়াড়দের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে। ১ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার সব ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে নেক গার্ড পরতে হবে। যেসব খেলোয়াড় নতুন নিয়ম মানবেন না, তাদের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। ২০১৪ সালে ফিলিপ হিউজের মৃত্যুর পর থেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নেক প্রটেক্টর ব্যবহারের সুপারিশ করলেও ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যাটসম্যান নেক প্রটেক্টর পরতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। স্মিথের সরাসরি আঘাতের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আঘাতের ফলে কনকাশন নিতেও বাধ্য হন তিনি। ২০১৯ সালের অ্যাসেজের লর্ডস টেস্টে জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে আক্রান্ত হয়ে পরের ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। আগামী ১ অক্টোবর থেকে দেশের মাটিতে বা বিদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে গেলে নিয়ম না মানলে সিএর নতুন নিয়মে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। সিএ-র হেড অফ ক্রিকেট অপারেশনস অ্যান্ড শিডিউল পিটার রোচ বলেছেন, "মাথা ও ঘাড়ের সুরক্ষা আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।" Prithvi Shaw: হাঁটুর চোটের কারণে ঘরোয়া মরসুমের বেশিরভাগটাই খেলতে পারবেন না পৃথ্বী শ
অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের হেলমেটের সঙ্গে লাগানো নেক গার্ডে কাগিসো রাবাডার বাউন্সারে আঘাত লাগার এক সপ্তাহ পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে থেকে ছিটকে যেতে বাধ্য হন তিনি। ২০২৩ অ্যাসেজের আগে সাসেক্সের হয়ে খেলার সময় নেক প্রোটেক্টর পরেছিলেন স্মিথ। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ঘাড় রক্ষাকবচ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।
শুধু তাই নয়, বিগ ব্যাশ লিগের ম্যাচে মেলবোর্নের ডকল্যান্ডস স্টেডিয়ামের ছাদে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যাটসম্যানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছয় রানের বোনাস বাতিল করাসহ খেলায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায়। আম্পায়াররা যদি বিশ্বাস করেন যে বলটি বাউন্ডারি ক্লিয়ার করেছে, তবে তারা এখন একটি ছক্কা দেবেন। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত খেলোয়াড়দের প্রতিস্থাপনকারী কোভিড প্রতিস্থাপনের ব্যবহারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।