জার্মানির রাজধানী বার্লিনে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান পৎসদামের প্লাৎজ রেলওয়ে স্টেশন (Potsdamer Platz Railway Station)। সেখানে জমায়েত অসংখ্য মানুষ সারমেয়র মতো চিৎকার করছে আবার কখনও ঘেউঘেউ করছেন। অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ভাষা ওটা। সোশ্যাল মিডিয়া এক্স ডট কম (আগের টুইটার)-এ ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ১০০০-এরও বেশি মানুষ স্টেশন চত্বরে জড়ো হয়ে কুকুরের মতো আওয়াজ করছেন এবং নিজেদেরকে পরিচয় দিচ্ছেন কুকুর বলেই।
অভিন্ন ও বিতর্কিত এই জমায়েত রাজধানী বার্লিনে আয়োজন করেছিল ক্যানাইন বিইয়িংস (Canine Beings)। নিজেদেরকে কুকুরের আত্মমর্যাদা দেওয়া এবং ওই জীবের ভাব-ভঙ্গিমা ও আচার-আচরণ করা নিয়ে অনেকেই বিরূপ মত প্রকাশ করেছে, সমালোচনাও হয়েছে। অনেকে বলেছেন, মানুষ ও জীবের মধ্যে সীমা অতিক্রম করা হয়েছে। কেউ কেউ আবার বলেছেন, কুকুর পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি, যদিও তা পুরোটাই রসিকতাময় মন্তব্য। বলা হচ্ছে, সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলে বেঁচে থাকার পরীক্ষা এবং কুকুরের আদবকায়দা অনুকরণ ‘কুকুর বলে পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তিরা’ কতটাই বা যথাযথভাবে করতে পারবে?
দেখুন
🇩🇪🐕1000s of people who identify as dogs gather in Berlin.
Over 1,000 participants communicated solely through howling and barking. A gathering of individuals identifying as dogs at the Berlin Potsamer Platz railroad station in Germany has ignited a wave of controversy, raising… pic.twitter.com/hoB4NDX0uW
— The Macro Story (@themacrostory) September 21, 2023
উল্লেখ্য, যে সমস্ত ব্যক্তিরা মানব ও জীবের ভেদাভেদের সীমারেখা অতিক্রম করে নিজেকে সংশ্লিষ্ট জীব হিসেবে পরিচয় দেয়, তাঁদেরকে থেরিয়ানস (Therians) বলা হয়। অনেকে কস্টিউম প্লেতেও অংশগ্রহণ করে নিজেকে জীবজন্তু পরিচয় দিয়ে। পিটসবার্গের ডুকেসনি ইউনিভার্সিটির সাইকোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর এলিজাবেথ ফেইনের মতে, এটি একটি বিশ্বাসগত বিষয়। যাঁরা নিজেরেদরকে সংশ্লিষ্ট জন্তু হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেই জীবের ন্যায় আদব-কায়দা তুলে ধরেন, তাঁরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন যে তাঁরা মানুষ হিসেবে জন্মালেও, তাঁদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জীবের আত্মা রয়েছে। সেই কারণেই তাঁরা কোনও জীবের ন্যায় আচরণ করেন।