প্রতি বছর ২২ জুন গোটা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবস। এই দিনের উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেইনফরেস্ট সংরক্ষণ ও সুরক্ষা করার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা। এককথায় রেইনফরেস্টের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয় এই দিনটি। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর অনেক প্রজাতিকে সমর্থন এবং প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ সহ অনেক পরিবেশগত সুবিধা প্রদান করে রেইনফরেস্ট। রেইন ফরেস্ট হল পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবন্ত বাস্তুতন্ত্র বা বলা যেতে পারে পৃথিবীর সবুজ ছাউনি, যার মধ্যে অনেক প্রায় ৭০ মিলিয়ন বছর ধরে বেঁচে আছে।
২০১৭ সালে রেইনফরেস্ট পার্টনারশিপ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, একটি সংস্থা যা রেইনফরেস্ট সংরক্ষণ এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করে। ২০২১ সালে, বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবসের জন্য প্রথম সন্মেলন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের সমস্ত অঞ্চলের মানুষ এবং সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে বন সংরক্ষণের কাজ করা। রেইনফরেস্টের গুরুত্ব, সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয় বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবসে।
বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবসে রেইনফরেস্টের ক্ষতি, তথা বন উজাড়, অবৈধ গাছ কাটা, আবাসস্থল ধ্বংস এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে জানার সুযোগ দেওয়া হয় জনগণকে। প্রতিটি জীবের জন্য জরুরি এটি সংরক্ষণ করা, তাই এই কাজের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয় এদিন। বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবসের লক্ষ্য হল রেইনফরেস্টের আয়ু বৃদ্ধির উপর নজর দেওয়া। এর জন্য সকলকে রেইনফরেস্টের গুরুত্ব এবং সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষিত করতে হবে। প্রায়শই বৃক্ষ রোপণ, শিক্ষামূলক কর্মসূচি, সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, রেইনফরেস্ট সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচারের মতো কাজ করা হয় বিশ্ব রেইনফরেস্ট দিবসে।