প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১ আগস্ট পালন করা হয় জাতীয় পর্বত আরোহণ দিবস। পর্বত আরোহণ উৎসাহীদের জন্য একটি দিনটি বিশেষ বলে মনে করা হয়। এই দিনটি পাহাড়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে প্রকৃতির কোলে হারিয়ে যাওয়ার দিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্র্যান্ড টেটনের প্রথম সফল আরোহণকে স্মরণ এবং সম্মান জানানোর জন্য পালন করা হয় জাতীয় পর্বত আরোহণ দিবস। পর্বত আরোহণের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি মানুষকে প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার সঙ্গে পর্বত আরোহীদের অনুপ্রাণিত করে আরও উচ্চতা অতিক্রম করতে উৎসাহিত করা হয় এই দিনে। এছাড়া পর্বত আরোহণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এবং পর্বতারোহণ সম্পর্কে আরও জানতে অনুপ্রাণিত করার জন্য পালন করা হয় পর্বত আরোহণ দিবস।
পর্বত আরোহণের ইতিহাস বেশ পুরনো। প্রাচীনকাল থেকেই পাহাড় পর্বতে আরোহণ করে আসছে মানুষ। প্রথম দিকে মানুষ ধর্মীয় কারণে পাহাড় পর্বতে উঠতেন, কিন্তু ধীরে ধীরে পর্বত আরোহণ পরিণত হয় খেলায়। ১৯ শতকে একটি জনপ্রিয় খেলা হয়ে ওঠে পর্বত আরোহণ। এই সময়ে অনেক পর্বতারোহীরা বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত আরোহণ করেছেন। ১৯৫৩ সালে, এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথমবার আরোহণ করেন মাউন্ট এভারেস্ট। পর্বত আরোহণ একটি শারীরিক চাহিদাপূর্ণ খেলা, যা শরীরকে শক্তিশালী করে এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে তোলে। পর্বত আরোহণ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। পর্বত আরোহণ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
পর্বত আরোহণ একজনকে প্রকৃতির কাছাকাছি পৌছে দিতে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে সাহায্য করে। পর্বত আরোহণ আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করতে অনুপ্রাণিত করে। তবে পর্বত আরোহণ করার সময় অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। উচ্চতায় তাপমাত্রা খুব কম থাকে, অক্সিজেনের অভাব থাকে, যার কারণে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। পাহাড়ে আবহাওয়া খুব দ্রুত পরিবর্তন হয় এবং আচমকা খারাপ আবহাওয়ার কারণে পর্বত আরোহণ হয়ে ওঠে খুবই বিপজ্জনক। এছাড়া পাহাড়ে ধসের আশঙ্কা থাকে।