১১ বা ১২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে সারা বিশ্বের মুসলমানরা রাখেন রোজা। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী রমজান মাসে প্রতিদিন ১৫ ঘণ্টা নির্জলা রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে। বেশির ভাগ মুসলমান উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার খেয়ে তাদের রোজা ভঙ্গ করে। এই সময় অনেকেই শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন এমন ক্রিয়াকলাপগুলি এড়িয়ে চলে। তাই সুস্থ থাকার জন্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য রমজানে পুষ্টির দিকে মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি। রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে রোজা পালনকারী ব্যক্তি স্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা সক্ষম সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত। রোজা রাখার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যেগুলি বলেছেন সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই জরুরি।

  • খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙা একটি পুরানো ঐতিহ্য। খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
  • সেহরির সময় হালকা খাবার, যার মধ্যে সবুজ শাকসবজি, শর্করা যুক্ত শস্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এই খাবার ইফতার পর্যন্ত সারাদিনের জন্য শক্তি দেয়।
  • সেহরি ও ইফতারের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত এবং হাইড্রেটেড জল জাতীয় খাবার যেমন ঘরে তৈরি করা স্যুপ, সবজি, শসা, সালাদ, টমেটো এবং তরমুজ খাওয়া ভালো।
  •  ইফতারের সময় চিনিযুক্ত বা মিষ্টিজাতীয় খাবার, কোল্ড ড্রিংকস, মিষ্টি বা দুধের মিষ্টি এবং ফলের রস খাওয়া কমিয়ে দেওয়া উচিত।
  • ইফতার বা সেহরির খাবারে কম ভাজা খাবার যেমন সামোসা, পাকোড়া, বার্গার ইত্যাদি ব্যবহার করা ভালো।
  • ইফতারের সময় উচ্চ লবণযুক্ত খাবার, যেমন প্রক্রিয়াজাত মাংস, আচার, স্ন্যাকস ইত্যাদি ন্যূনতম পরিমাণে খাওয়া উচিত। এগুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অম্বল ও হজমের সমস্যা হতে পারে।
  •  ইফতার হোক বা সেহরি, খাবার খাওয়ার সময় ছোট ছোট কামড় দিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে না।