১৮২৪ সালে গুজরাটের টাঙ্কারায় করশনজি লালজি কাপাডি এবং যশোদাবাইয়ের ঘরে জন্ম হয় দয়ানন্দ সরস্বতীর। তিনি একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন যিনি বাল্যবিবাহ এবং সতীপ্রথার মতো কুপ্রথা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন মহান সমাজ সংস্কারক ছিলেন মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী। জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিজের জীবন উৎসর্গকারী একজন মহাপুরুষ ছিলেন তিনি। স্বামী পূর্ণানন্দ সরস্বতীর কাছ থেকে ত্যাগের দীক্ষা গ্রহণের পর দয়ানন্দ সরস্বতী নামে পরিচিতি লাভ করেন তিনি।
আর্য সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী। তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাল গঙ্গাধর তিলক, রাম প্রসাদ বিসমিল এবং চন্দ্রশেখর আজাদের মতো দেশপ্রেমিকরা দেশের জন্য তাঁদের সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন। হিন্দুধর্মের অনেক প্রধান গ্রন্থে মহর্ষি সরস্বতীর উল্লেখ রয়েছে। তৎকালীন ভারত জুড়ে ব্রিটিশদের মধ্যে প্রচলিত আনুষ্ঠানিক ধারণাগুলিরও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এছাড়া দয়ানন্দজি "সত্যার্থ প্রকাশ" নামে একটি বইও লিখেছিলেন যা আজও প্রাসঙ্গিক।
সমাজে বৈদিক মূল্যবোধের পুনরুজ্জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী। তাঁকে সম্মান জানাতে প্রতি বছর পালন করা হয় মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জয়ন্তী। পঞ্জিকা অনুসারে, মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী জয়ন্তী পালন করা হয় ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের দশমী তিথিতে। ২০২৫ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী জয়ন্তী পালন করা হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার। এদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে দয়ানন্দজির শিক্ষা এবং নৈতিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত তাঁর কাজগুলি স্মরণ করা হয়।