নয়াদিল্লি: কেরালা বিধানসভায় রাজ্যের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব পাস। আনুষ্ঠানিকভাবেই 'কেরল'-এর নাম পরিবর্তন করে 'কেরালাম' করার প্রস্তাব পাস হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারও যদি সবুজ সংকেত দেয়, তাহলে কেরালার (Kerala) নাম হবে ‘কেরালাম’ (Keralam)। কেরালার নাম পরিবর্তনের এই প্রস্তাবের পর প্রশ্ন উঠেছে এই দুটি নামের মধ্যে পার্থক্য কী এবং কেরালার নতুন নাম 'কেরলাম'-এর অর্থ কি? জেনে নেওয় যাক ‘কেরালা’ এবং ‘কেরালামের’ মধ্যে পার্থক্য কি এবং কেন রাজ্য সরকার নাম পরিবর্তন করতে চায়?
কেরালামের দাবি কেন?
প্রস্তাব পেশ করার সময়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যটিকে মালয়ালম ভাষায় 'কেরালাম' বলা হয়, তবে অন্যান্য ভাষায় এটি এখনও কেরালা। প্রকৃতপক্ষে, সংবিধানের প্রথম তফসিলে রাজ্যের নাম কেরালা হিসাবে লেখা ছিল এবং এখন তা পরিবর্তন করে কেরালা করার দাবি করা হচ্ছে এবং অষ্টম তফসিলে নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়েছে।উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর কেরালাকে ভাষার ভিত্তিতে একটি পৃথক রাজ্য করা হয়েছিল।
কেরালা এবং কেরালামের মধ্যে পার্থক্য কি?
কেরালা নামের উৎপত্তি নিয়ে অনেক তত্ত্ব আছে। পুরনো নথি অনুসারে, কেরালা সম্রাট অশোকের দ্বিতীয় আদেশটি ২৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দের, এই শিলালিপিতে স্থানীয় শাসককে কেরালপুত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে। মালয়ালমভাষী লোকেরা এই অঞ্চলের বিভিন্ন রাজা এবং রাজ্যের দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
কেরালাম শব্দের উৎস চেরাম থেকে বলে মনে করা হয়। কথিত আছে, জার্মান পণ্ডিত ডঃ হারমান গুন্ডার্ট প্রথম মালয়ালম-ইংরেজি অভিধান প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে 'কেরাম' শব্দটি চেরামের কানারিস (কন্নড়) রূপ এবং তিনি কেরালামকে চেরাম হিসাবে বানান করেছিলেন।আবার অনেকের বিশ্বাস 'কেরালাম' নামটি 'কেরা' শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ নারকেল গাছ। এই নাম পরে কেরালা হয়। আবার এটিও মনে করা হয় যে, কেরালাম শব্দটি মালয়ালম ভাষায় একই, তবে ইংরেজির কারণে এটি কেরালা নামে পরিচিতি পায়।